হবিগঞ্জ জেলার রেমা চা বাগান বন্ধ থাকার কারণে চা শ্রমিকরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। ২ মাস ৭ দিন ধরে এই বাগানটি বন্ধ হয়ে আছে। বকেয়া বেতন পরিশোধ, মামলা নিষ্পত্তি ও চা বাগান পুনরায় চালু করার দাবিতে শ্রমিকরা আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক  সমাবেশে মিলিত হয়।
সবাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল, অ্যাডভোকেট আবুল হাসান, চা শ্রমিক নেতা মোহন রবিদাস, স্থানীয় মেম্বার মিলন চন্দ্র দেব প্রমুখ।
নিপেন পাল বলেন, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে যদি রেমা চা বাগান পুনরায় চালু না হয় তাহলে বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। চলমান করোনাভাইরাস কালীন সময়ে চা বাগানের মানুষ যেভাবে খাদ্য সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তা অবর্ণনীয়। এইসময় বাগান কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল শ্রমিকদের পাশে থেকে সহযোগিতা করার। কিন্তু কোন ধরনের সহযোগিতা দূরের কথা মালিক পক্ষ থেকে শ্রমিকদের কোনরকম খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে না। দুই মাস সাত দিন ধরে অনাহারে-অর্ধাহারে শ্রমিকদের দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।
ত্রাণ না পেলে শ্রমিকদের উপোস থাকতে হচ্ছে। ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বাগানের শ্রমিকদের ত্রাণ দেয়া হয়, যা দিয়ে তারা কয়েকদিন খেতে পেরেছিলেন। বর্তমানে শ্রমিকদের চরম সংকটের মধ্যে জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
অ্যাডভোকেট আবুল হাসান বলেন, বাগানটি হচ্ছে বাংলাদেশ চা সংসদের সদস্য ভুক্ত বাগান এবং উৎপাদনের নিরিখে প্রথম শ্রেণীর বাগান। বাগান কর্তৃপক্ষ প্রচলিত দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চুক্তিতে শ্রমিকদের মজুরি এবং আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নির্ধারিত হয়। কিন্তু রেমা বাগান কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি পাশ কাটিয়ে নিজের মতো করে বাগান পরিচালনা করে আসছে। চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতির দ্রুত নিরসন করে বাগানটি পুনরায় চালু করার আহ্বান জানান তিনি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি