শিশুরা যাতে আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষাগ্রহনের সুযোগ পায় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে ॥ মর্জিনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মর্জিনা আক্তার বলেছেন, কোন দেশের ভিত্তি মজবুত করতে শিক্ষার বিকল্প নেই। সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করছে। বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। শিক্ষার উন্নয়নে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সেগুলোর সফল বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধূলার মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। শিশুরা যাতে খেলার মাধ্যমে আনন্দঘন পরিবেশে উৎসাহ ও উদ্দীপনায় সানন্দে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পায় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। মঙ্গলবার দুপুরে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম- ৫ম পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের হবিগঞ্জ জেলার ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইষুভূষণ দাশ রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শংখ শুভ্র রায়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম- ৫ম পর্যায় হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারি প্রকল্প পরিচালক জগদ্বীশ চন্দ্র রায়। বক্তব্য রাখেন প্রদীপ দাশ সাগর, পরেশ চন্দ্র দাস, ধনেশ চন্দ্র বর্মন প্রমূখ। শুরুতে পবিত্র গীতা থেকে শ্লোক পাঠ করেন শিক্ষার্থী তিতলি বণিক।
অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, নৈতিক চরিত্র গঠনে মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সুন্দর জাতি গঠনে সুশিক্ষার বিকল্প নেই। আর প্রাক-প্রাথমিক স্তরেই সেটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। শিশুদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলেই ভবিষ্যত প্রজন্ম সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। এই কার্যক্রমে জড়িত প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে, তারা কোমলমতি শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন। তাই সংশ্লিষ্ট সকলকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। বক্তারা বলেন, মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলো সমাধানে সরকার দ্রুত উদ্যোগী হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সেই সাথে হবিগঞ্জ জেলায় গীতা শিক্ষাসহ প্রাক-প্রাথমিক স্তরে আরো শিক্ষাকেন্দ্র বৃদ্ধির দাবি জানান তারা।
পরে ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে নির্বাচিত ৫ জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও ১০ জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীকে পুরস্কারের নগদ অর্থ সনদপত্র এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।