রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং থেকে ॥ ভূয়া বিল ভাউচার ও স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বানিয়াচং পরিবার পরিকল্পনা অফিসের মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) ডাঃ সুবিমল চন্দকে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) পদে বদলির আদেশ দিয়েছেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ইফতেখার রহমান ও সহকারি পরিচালক (পার-১) স্বপন কুমার শর্মা। এই বদলির আদেশ বুধবার থেকেই কার্যকর করার কথা। ওই তারিখে যদি ডাঃ সুবিমল যোগদান না করেন অন্যথায় পরের দিন থেকে তাৎক্ষনিক অব্যাহতি প্রাপ্ত হবেন বলে অফিস আদেশ কপিতে উল্লেখ করা হয়। গত ১৯ জানুয়ারি উপপরিচালকের স্বাক্ষরিত আদেশ গৃহিত হয়।
জানা যায়, ডাঃ সুবিমল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় বানিয়াচংয়ের ক্লিনিক অধিক্ষেত্রের বিল ২৬, তারিখ-১০-০৬-১৮ইং, বিল নং-২৭, তারিখ-২৬-০৬-১৮ইং এবং বিল নং-২৮, ২৬-০৬-১৮ইং এর সংশ্লিষ্ট ইমপ্ল্যান্ট ক্লায়েন্ট/গ্রহীতাদের ইমপ্ল্যান্ট কনসেন ফরম ও ইমপ্ল্যান্ট ফলোআপ ও রেজিস্ট্রারে ভূয়া নামধারীদের নাম দিয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন দোকান থেকে স্বাক্ষর জালিয়াতি ও ভূয়া বিলের মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাত করেছেন মর্মে বিভাগীয় তদন্তে উঠে এসেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তাগণ ডাঃ সুবিমলকে আত্মসাত করা ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে যান। উপরোক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের ০৩ নভেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা বানিয়াচং পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে তদন্ত করেন। পরবর্তীতে ইমপ্ল্যান্ট সেবা গ্রহীতা, বিভিন্ন দোকান মালিক ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণের সঙ্গে কথা বলেন।
পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা রাধা রাণী দাস ও কাঞ্চন রাণী দেবের সাথে ইমপ্ল্যান্ট ফলোআপ বিষয়ে কথা বললে তারা জানান, অত্র কার্যালয়ে কখনোই ইমপ্ল্যান্ট ফলোআপ সেবা প্রদান করা হয় না। এমনকি ইমপ্ল্যান্ট ফলোআপ রেজিস্ট্রারও নেই। অভিযোগের সত্যতা মিলায় ডাঃ সুবিমলকে অত্র অফিস থেকে অন্যত্র বদলীর জন্য মহাপরিচালক বরাবরে সুপারিশ করা হয়। এ সুপারিশের প্রেক্ষিতে ও দুদকে করা অভিযোগ বিভাগীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অন্যত্র বদলির আদেশ দিয়েছেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও সহকারি পরিচালক।