চুনারুঘাটে বর্গা বাতিল করায় জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষ

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটে বর্গাচাষ বাতিল করায় জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় গত নভেম্বর মাসে হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন জমির মালিক আব্দুল মালেক জিতু। মামলার আসামীদের মধ্যে আরো রয়েছেন- আহাম্মদাবাদ ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের মজিবুর রহমান কবির, আঃ লতিফ, আঃ আহাদ, জাবেদ মিয়া রুহেল মিয়া প্রমূখ।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহাম্মদাবাদ ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের মৃত হাজী সিকান্দর আলীর ছেলে আঃ মালেক জিতু একই গ্রামের মৃত আঃ হকের পুত্র কবির মিয়ের মাঝে ৭৬ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। মাঠ জরিপে জিতু মিয়া গংদের নামে জমির মালিকানা বুঝিয়ে দিলে কবীর মিয়ার সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। মামলার বাদী আব্দুল মালেক জিতুর দাবি ওই জমিটি মৌরশি জোত সত্ত্ব। উক্ত জমিতে দীর্ঘদিন ধরে তিনি আমন ধান চাষ করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। মামলার ১নং বিবাদী মজিবুর রহমান কবির মিয়াকে কয়েক বছর পূর্বে বর্গা চাষাবাদের জন্য দেন বিবাদী। বিবাদীর পক্ষে হাল চাষাবাদের মাধ্যমে ধান ফলানো সম্ভব না হওয়ায় এবং ধান্য জমিটি ১নং আসামীর বাড়ির নিকটবর্তী হওয়ায় তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে আসামীকে জমিটি বর্গা প্রদান করেন। কিন্তু বর্গার চুক্তি মোতাবেক জমির মালিক হিসেবে আমার প্রাপ্য অংশের ধান সঠিকভাবে পরিশোধ না করায় কবিরকে বর্গদার হিসাবে বাদ দিয়ে অন্য আরেক কৃষককে দিয়ে জমি চাষাবাদ করে ধান সংগ্রহ করি। উক্ত কারণে মামলার ১নং বিবাদী আমার সাথে আক্রোশ পোষণ করে আসছিল। এই সুবাধে মামলার ২নং আসামী আব্দুল লতিফ প্রভাবশালী লোক দিয়ে বিভিন্ন সময় জিতুকে হুমকি ধামকি দিতেন বলে জানান। প্রাণনাশের হুমকিতে তিনি নিরুপায় হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে জমির প্রকৃত মালিক পুলিশ প্রশাসনের নিকট সু-বিচারের দাবি জানান এবং জব্দকৃত ধান ফিরিয়ে দিতে সাহায্য চান।
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর শনিবার দুপুরে জিতু মিয়ার জমি থেকে আসামীরা লোক নিয়ে জমির ধান কেটে নিয়ে যায়। ওইসময় বাদি ধান কাটতে বাধা দিলে তারা প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে চুনারুঘাট থানার এসআই মোস্তফা কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আব্দুল লতিফের বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ মণ ধান জব্দ করেন। পরে বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জব্দকৃত ধান আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রউফ মিয়ার জিম্মায় দেন।