হবিগঞ্জে পরিবার কল্যাণ সপ্তাহ উপলক্ষে অ্যাডভোকেসি সভা ও প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বললেন

এসএম সুরুজ আলী ॥ হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেছেন- কেউ যদি হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কিংবা বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সন্তানকে ভর্তি করাতে চান তাহলে তাকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করান। ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি দেয়া হয়েছে। কেউ যদি মনে করেন তদবির করে সন্তানকে ভর্তি করাবেন তাহলে ভুল করবেন। কারণ তিনি যত বড় ক্ষমতাধরই হোন না কেন কিংবা যত উপর থেকেই তদবির করান না কেন কোন কাজ হবে না। সরকারের ভর্তির নিয়মাবলীর বাইরে কোন শিক্ষার্থীকে তদবিরে ভর্তি করা হবে না। আমি কারো তদবির শুনব না। দুয়েকদিনের মধ্যে আমার অফিসে নোটিশ টানিয়ে দেয়া হবে ‘এখানে ভর্তির তদবির শোনা হয় না’। জেলা প্রশাসক অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলেন- যদি আমার সন্তানও সরকারের নিয়মে ভর্তি হতে না পারে তাহলে আমার সন্তানের জন্য আমিও তদবির করবো না।
গতকাল বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জে পরিবার কল্যাণ সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে অ্যাডভোকেসি সভা ও প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ নাসিমা খানম ইভা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম ফজলুল হক, বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি হারুনুর রশিদ চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ নাহিজ, হবিগঞ্জ টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম সুরুজ আলী প্রমূখ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান আরো বলেন, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন ও সেবা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের কাছে মাঝে মধ্যে অভিযোগ আসে স্বাস্থ্যকর্মীরা ঔষধ বাইরে বিক্রি করে দেন। এ অভিযোগের প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে মানুষকে বুঝাতে হবে। কোথাও বাল্যবিবাহ হলে প্রশাসনকে জানাতে হবে। তাহলে প্রশাসন তা প্রতিরোধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য বাহুবলের অবৈধ কয়েকটি ইটের ভাটা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। চুনারুঘাটে অভিযান পরিচালনা করে বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধ করেছে প্রশাসন। শহরের পুরাতন খোয়াই নদীর অবৈধ স্থাপনাসহ সরকারি জায়গা উদ্ধার অভিযান চলছে। অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন সময় প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আহবান জানান জেলা প্রশাসক।
সভায় বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাতৃমৃত্যু প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর্মীদের বলিষ্ট ভূমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি গ্রামের দরিদ্র নারীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।