স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারতের পশ্চিবঙ্গের চারটি মর্যাদাপূর্ণ নাট্যোৎসবে সাফল্যের সাথে অংশগ্রহণ করে দেশে ফিরেছে জীবন সংকেত নাট্যগোষ্ঠী। উৎসবগুলিতে জীবন সংকেত তাদের ২৮তম প্রযোজনা রুমা মোদক রচিত অনিরুদ্ধ কুমার ধর শান্তনু ও সুদীপ চক্রবর্তী নির্দেশনার মূল ভাবনায় নুসরাত জিসার নির্দেশনায় তাদের ২৮তম প্রযোজনা ‘বিভাজন’ নাটকটি মঞ্চায়ন করে। এ উদ্দেশ্যে জীবন সংকেতের সভাপতি অনিরুদ্ধ কুমার ধরের নেতৃত্বে ৩০ জনের একটি দল ১০ নভেম্বর বাংলাদেশ ত্যাগ করে।
১২ নভেম্বর বহরমপুর রবীন্দ্র ভবনে রঙ্গভূমি নাট্যোৎসব, ১৪ নভেম্বর পুরুলিয়ার রবীন্দ্র ভবনে কাঁসাই-কপোতাক্ষ নাট্যোৎসব, বর্ধমান লোক সংস্কৃতি মিলনায়তনে গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব ও কলকাতা মধ্যমগ্রামে অগাস্তো বোআল মিলনায়তনে নাটকটির সফল মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়।
জীবন সংকেতের নাটককে ঘিরে ৪টি উৎসবেরই মিলনায়তন ছিল কানায় কানায় দর্শকপূর্ণ। দেশ বিভাগের পটভূমিতে রচিত নাটকটি অনবদ্য অভিনয় ও পরিবেশনা রীতি উপস্থিত দর্শকবৃন্দকে মুগ্ধ ও আবেগাপ্লুত করে। নাটক শেষে দর্শক অশ্রু আর মূহুর্মুহূ করতালি দিয়ে জীবন সংকেতের নাট্যশিল্পীদের অভিনন্দিত করেন এবং নাটকটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। নাটকটি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আর্থিক সহযোগিতায় পুনঃনির্মাণ করা হয়। বহরমপুরে পূর্ত দপ্তরের অধিক্ষক বাস্তুকার প্রণব বিশ্বাস, মধ্যমগ্রামে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুরঞ্জন মিদ্যে, পুরুলিয়ায় অতিরিক্ত জেলা শাসক সুপ্রিয় দাস ও এডিএম ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য, বর্ধমানে প্রখ্যাত নাট্য নির্দেশক ও সমালোচক অংশুমান ভৌমিক প্রমুখ উপস্থিত থেকে জীবন সংকেতকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন।
জীবন সংকেতের সভাপতি অনিরুদ্ধ কুমার ধর শান্তনু নাটকটি পুনঃমঞ্চায়নে যাঁরা আর্থিক ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।