বানিয়াচঙ্গে ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ শীর্ষক সেমিনারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সেলিম

রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং থেকে ॥ হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) শেখ মোহাম্মদ সেলিম বলেছেন, বাংলাদেশ একটি শান্তি ও সম্প্রীতির দেশ। এই দেশ জঙ্গিদের অভয়ারণ্য হতে পারে না। ইভটিজিং প্রতিরোধে সমাজের প্রত্যেকটা মানুষের দায়িত্ব রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রয়েছে অপরিসীম। বাল্যবিবাহ আমাদের দেশে একটি সামাজিক ব্যাধি। বর্তমান আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি বাধা হচ্ছে এই বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহ মৃত্যুর ঝুকি বাড়িয়ে দেয়। অল্প বয়সে বিবাহের কারণে অল্প বয়সেরই মেয়েরা গর্ভবতী হয়ে যায়। যা তাদের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য চাই সামাজিক সচেতনতা। তিনি রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বানিয়াচং আইডিয়াল কলেজে বানিয়াচং থানা পুলিশের আয়োজনে দাঙ্গা, মাদক, জঙ্গী, সস্ত্রাস, ইভটিজিং ও বাল্য বিবাহ নির্মূলে শিক্ষার্থী তথা যুবসমাজের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সেলিম আরো বলেন, সাধারণ জনগণের সহায়তায় আমরা সব ধরণের সমস্যার সমাধান করতে চাই। শুধু অভিযান দিয়ে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দূর করা সম্ভব নয়। সে জন্য সমাজের সর্বস্তরের লোকদের নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। মাদক নিরাময়ে চাই পরিবারের আন্তরিকতা ও পারস্পরিক ভালোবাসা। পিতা-মাতা ও অভিভাবকরাই পারেন সন্তানকে মাদকের করাল ছোবল থেকে রক্ষা করতে। আমাদের ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ জীবন থেকে মাদকদ্রব্য উৎখাত এবং মাদকাসক্তি নির্মূল করতে হলে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি দরকার মানুষের বিবেক ও মূল্যবোধের জাগরণ। আর জঙ্গি দমনে তো কোনো কথা ই নেই। সরকার যেহেতু জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও এ নীতির রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সেলিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার সামন্ত, অধ্যক্ষ স্বপন কুমার দাস, আমবাগান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বিপুল ভুষণ রায় ও কলেজের প্রভাষকসহ শিক্ষার্থীবৃন্দ।