মো. শাহ্ আলম/এফ আর হারিছ, বাহুবল থেকে ॥ বাহুবলে এক শিক্ষিকার দায়িত্বে অবহেলা ও ভুলের কারণে চলতি জেএসসি পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এক শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষিকা রুবি রানী দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি।
সূত্র জানায়, বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের মীরেরপাড়া গ্রামের মতিন মিয়ার কন্যা লিপি আক্তার পুটিজুরী শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে চলতি জেএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। সরকারি বিধি মোতাবেক রেজিস্ট্রেশন ফি ও সকল প্রকার কাগজপত্র পূরণ করে জেএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিল লিপি। কিন্তু পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত সকল কাগজপত্রগুলো নিজের অবহেলা ও গাফিলাতির কারণে প্রতিষ্ঠানের দপ্তরে জমা দেননি ক্লাস শিক্ষিকা রুবি রানী দাস। যার কারণে চলতি জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হল না লিপি আক্তারের। তার শিক্ষা জীবন থেকে ঝড়ে গেল একটি বছর।
যার কারণে চলতি জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি লিপি আক্তার। তার শিক্ষা জীবন থেকে ঝড়ে গেল একটি বছর। এ বিষয় নিয়ে রবিবার বেলা ১১টায় স্কুল প্রাঙ্গণে ম্যানেজিং কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা নিজের দায়িত্বে অবহেলার কথা স্বীকার করলে স্কুল কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক কানু প্রিয় চক্রবর্তী জানান, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং পরীক্ষা বঞ্চিত ছাত্রীর এক বছরের শিক্ষা বাবত সকল খরচ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে চাইছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা।
তবে পরীক্ষা বঞ্চিত ছাত্রীর পরিবারের দাবি, খরচ বাবত টাকা নিয়ে কি হবে, যার শিক্ষা জীবন থেকে একটি বছর ঝড়ে গেল তার ক্ষতিপূরণ কে দিবে? এ বিষয়ে পুটিজুরী শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহ আব্দুল আহাদ বলেন, যে শিক্ষিকার দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতির কারণে একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনে ঝুঁকি নেমে আসে তাকে সাময়িক নয়, প্রয়োজনে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে, তারপরও স্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটতে দিব না।
এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষিকা রুবি রানী দাসের বিরুদ্ধে স্কুলে শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণ ও খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি স্কুলের অফিসে বসে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় না নিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন শিক্ষিকা রুবি রানী দাস। তিনি স্কুলে প্রায়ই অফিস কক্ষে চেয়ারে বসে টেবিলে পা তুলে আরাম-আয়েশে সময় কাটান।
উল্লেখ্য, শিক্ষিকা রুবি রানী দাস একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক দোলন চন্দ্র দাসের স্ত্রী। এ নিয়ে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।