ইতিপূর্বে তিনি মেম্বার পদ থেকে পদত্যাগ করে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন

এসএম সুরুজ আলী ॥ মেম্বার পদ থেকে পদত্যাগ করে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়ে আবারও নিজের ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে পরাজিত হলেন মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার সমছু মিয়া। তিনি গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদে তালা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩৯২ ভোট পান। এ ওয়ার্ডে ৪৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আক্তার মিয়া (মোরগ)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ ওয়াহাব মিয়া (ফুটবল) প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৪৪৬ ভোট। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সমসু মিয়া ৯নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে বিজয়ী হন। এর পূর্বে আরো ২ বার মেম্বার নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন সমছু মিয়া। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আন্দিউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আতিকুর রহমান আতিক চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন নিয়মানুযায়ী ওই পদটি শূন্য ঘোষণা করে। পরবর্তীতে গত ২৫ জুলাই এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন সমছু মিয়া। তার দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে সে সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে তিনি ১ হাজার ৮৬৪ ভোট পান। এ নির্বাচনে ২ হাজার ৬শ’ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ (চশমা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নেপাল চন্দ্র দাস। তিনি পেয়েছিলেন (অটোরিক্সা) ২ হাজার ১১৭ ভোট। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সমছু মিয়া ৩য় স্থান অর্জন করেছিলেন। গতকাল তার ছেড়ে দেয়া ওয়ার্ডে মেম্বার পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনেও তিনি অংশগ্রহণ করে ৩য় হন।
সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হওয়ার পর যখন সমছু মিয়া আবারও মেম্বার পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন তাকে তার আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার লোকজন নির্বাচনে অংশ না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কারও পরামর্শ না শুনে মেম্বার পদে পুনরায় নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবারও আবার পরাজিত হলেন। এ নিয়ে এলাকার লোক মুখে নানামুখি আলোচনা চলছে।