ভারতের সাথে করা জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হবিগঞ্জ জেলা শাখা। সোমবার বিকাল ৫টায় শহরের রাজনগরস্থ কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হবিগঞ্জ জেলার উদ্যোগে জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মহিব উদ্দিন আহমদ সোহেলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী আলহাজ্ব শামছুল হুদার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে ভারতের সাথে দেশবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মদ-জুয়া, খুন-ধর্ষণ বন্ধ ও বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে সভাপতির রক্তব্যে আলহাজ্ব মহিব উদ্দিন আহমদ সোহেল বলেন, পূর্বের অনেক অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান না করে ভারতের সাথে বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী নতুন ৭টি চুক্তি করে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় স্বার্থবিরোধী কাজ করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে এ সকল চুক্তি বাতিলের দাবি জানান।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, তিস্তা এবং ফারাক্কা সমস্যার সমাধান না করে ফেনী নদীর পানি কোনক্রমেই ভারতকে দেয়া যাবে না। ভারত সীমান্তে আমাদের দেশের নাগরিকদের ধরে নিয়ে হত্যা করে তারকাটায় লাশ ঝুলিয়ে রাখে। র‌্যাবের সদস্যদেরকে বিএসএফ ধরে নিয়ে নির্যাতন করে বাংলাদেশ ও দেশের পতাকাকে অবমাননা করেছে। একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে এটা কোনভাবেই কাম্য নয়।
বক্তারা আরও বলেন, বুয়েটসহ বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা ও হত্যাকান্ড বিরাজমান। হল সন্ত্রাসীদের তান্ডবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুষ্টু পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তাই আবরার হত্যাকারীসহ সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রদানের দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, দেশের পক্ষে কথা বলার কারণে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার লেখা দেশের পক্ষে ছিল। আমরা মনে করি আবরারকে হত্যা করা হয়নি বরং গোটা বাংলাদেশ, বাংলাদেশের পতাকাকে হত্যা করা হয়েছে। আবরার ফাহাদ হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থাগ্রহণ এবং বিশেষ ট্রাইবুন্যালে আবরার হত্যার বিচারের দাবি জানান বক্তারা।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হবিগঞ্জ জেলা সহ-সভাপতি আব্দুশ শহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুদা নিক্সন, আলহাজ্ব এনামুল হক, মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা শামছুল আলম, শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল মুসাব্বির রুনু, যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান লিটল, ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি আশরাফুল ইসলাম সোহাগসহ জেলা ও উপজেলার আন্দোলন ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীলবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি