নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার রানীগাঁও গ্রামে ভাবীকে বেধড়ক মারধোর করে জোরপূর্বক সন্তানসহ ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা দিয়েছেন দেবর। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে ভাবী মাসকুরা বেগম ও তার সন্তানদেরকে ঘরের তালা খোলে দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে নিজ বাসস্থানে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের রানীগাঁও গ্রামের মৃত আরব আলীর প্রবাসী ছেলে তোফাজ্জুল হক একই ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে মাসকুরা বেগমকে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পরই তোফাজ্জুল হক দুবাই চলে যান। কয়েক বছর পর পর ছুটিতে দেশে আসা যাওয়া করেন। প্রবাসী তোফাজ্জুল হকের স্ত্রী আড়াই বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু প্রায়ই দেবর মঈনুল হক স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে ভাবীর সাথে অশালীন আচরণসহ মারধোর করে আসছেন। গত শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে বেধড়ক মারপিট করে আড়াই বছরের শিশু বাচ্চাসহ ভাবী মাসকুরা বেগমকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয় দেবর। নিরুপায় হয়ে প্রবাসী স্বামীর সাথে যোগাযোগ করে মাসকুরা বেগম পিত্রালয়ে আশ্রয় নেন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিলে এএসআই হিল্লোল তালুকদার এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। এ সময় দেবর মঈনুল হক-কে ডেকে এনে ঘরের তালা খোলে শিশু বাচ্চাসহ মাসকুরা বেগমকে নিজ ঘরে ফিরিয়ে দেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাসকুরা বেগমের পিতা মাওলানা আব্দুর রহিম বলেন, তার মেয়ে মাসকুরা বেগমকে দেবর মঈনুল হক মারধোর করে। এলাকার মুরুব্বীয়ানদের জানালেও সে কোন শালিস বিচার মানতে নারাজ। অসহায় হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।