
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১০ জনকে সিলেট প্রেরণ
এস কে কাওছার আহমেদ, আজমিরীগঞ্জ থেকে ॥ আজমিরীগঞ্জের শিবপাশায় শিশুদের পাওনা টাকা নিয়ে দুইপক্ষের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের নারীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ অনেকেই আতহ হয়েছেন। আহতরা আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ পার্শ্ববর্তী বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার অবণতি হওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১০ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের যশকেশরী গ্রামের উত্তর হাটির মাসুক মিয়া গং ও বড়হাটি মুফাচ্ছির মিয়া গংদের মাঝে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত কিছু দিন পূর্বে শিবপাশার যশকেশরী গ্রামের মুফাচ্ছির মিয়ার পক্ষের আলকাছ মিয়ার ছেলে রাবেল মিয়া (১২) একই এলাকার মাসুক মিয়ার পক্ষের নবী মিয়ার ছেলে নাইম (১৩) এর কাছে একটি খেলনার ব্যাটারি বিক্রি করে। ব্যাটারী বিক্রির টাকা নিয়ে উভয় পরিবারের লোকজনের মাঝে বাক-বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয় মুরুব্বীরা উভয়পক্ষকে শান্ত করে বিষয়টি ১২ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সালিশে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিয়ে নবী মিয়ার সাথে আলকাছ মিয়ার বাক-বিতন্ডা বাঁধে। বিষয়টি উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের নারীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
যশকেশরী গ্রামের মাসুক মিয়া জানান, কিছুদিন আগে বাচ্চাদের একটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা বাঁধে। পরে মুরব্বিরা বিষয়টি সালিশে মিমাংসার সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের পক্ষের নবী মিয়াকে তারা মারধোর করে। এ নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এ বিষয়ে জানতে মুফাচ্ছির মিয়ার মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এখন কথা বলতে পারবো না, রোগী নিয়ে সিলেটে যাচ্ছি।’
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, বাচ্চাদের টাকা পাওনা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।