হবিগঞ্জে দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ

এসএম সুরুজ আলী ॥ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে হবিগঞ্জে চলছে মূর্তি তৈরির কাজ। শেষ মুহূর্তে এসে এখন রংতুলির আঁচড়ে প্রতিমাকে রাঙিয়ে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা। একই সাথে চলছে মন্ডপ তৈরির কাজও। আয়োজকদের দাবি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত ব্যবস্থা ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারী থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। অপরদিকে দুর্গাপূজাকে শান্তিপূর্ণ করতে নজরদারি বাড়িয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকের কাটি আর ঢুল বেজে উঠলেই ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে আগামী ৪ অক্টোবর শুরু হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ বছর জেলায় ৬৫৩টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজা মন্ডপ ১২৫টি, গুরুত্বপূর্ণ ১৪৮টি ও সাধারণ পূজা মন্ডপ ৩৮০টি। হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭৩, চুনারুঘাটে ৭৯, মাধবপুরে ১১৮, বাহুবলে ৪৯, নবীগঞ্জে ৯০, বানিয়াচংয়ে ১১৮, আজমিরীগঞ্জে ৩৭, লাখাইয়ে ৭১ ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ১৮টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মন্ডপেই চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। অনেক মন্ডপের মূর্তি তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেগুলোতে রংতুলির আঁচড়ে প্রতিমাকে সাজানোর কাজ চলছে। আবার অনেক মন্ডপে এখনও প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। একই সাথে চলছে মন্ডপ সাজানোর কাজও। মন্ডপগুলোতে শিল্পীরা দিনরাত অবিরাম কাজ করে চলেছেন।
প্রতিমা শিল্পীরা জানান, কয়েক দিনের মাঝেই প্রতিমা তৈরির সব কাজ সম্পন্ন হবে। এরপর পূজার জন্য মুর্তিগুলো প্যান্ডেলে উঠবে। নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ করতে এখন তারা অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায় জানান, দুর্গাপূজাকে শান্তিপূর্ণ করতে প্রশাসনের সাথে তাদের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত পাওয়ার বিষয়েও তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি মন্ডপেই তাদের নিজেদের স্বেচ্ছাসেবী থাকবেন। আর বাড়তি সাবধানতা হিসেবে বিদ্যুতের জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থাও করা হবে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বিপিএম-পিপিএম জানান, এবারের দুর্গাপূজাকে শান্তিপূর্ণ করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আনসার, পুলিশ, র‌্যাবের ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মন্ডপগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হবে। যেন কেউ কোন ধরণের অপরাধ সংঘটন করতে না পারে। তিনি বলেন, এবার ডিজে নিষেধ করা হয়েছে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যেন মাদক কারবারিরা সক্রিয় হতে না পারে সে ব্যাপারেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুত নিরবচ্ছিন্ন করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথেও কথা হয়েছে।