আলোচিত কসবা গ্রামে র‌্যাবের অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আজিজুল ইসলাম হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। গত ৩০ জুন প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণ করেন বিজ্ঞ আদালতের বিচারক। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, সাক্ষ্য গ্রহণের পরপরই আজিজুল হত্যা মামলার আসামীরা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। মামলার সাক্ষীদের আদালতে না যাওয়ার জন্যে মারধর ও হত্যার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ উঠে। এ অবস্থায় মামলার বাদী ইকবাল হোসেন স্বপন নবীগঞ্জ থানায় জিডি এবং র‌্যাব-৯ কার্যালয়ে লিখিত দরখাস্ত করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে র‌্যাব-৯ এর সদস্যরা আলোচিত কসবা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করেন।
নিহত আজিজুলের স্বজনরা জানান, ২০১৫ সালের ৫ জুন বিভিন্ন হত্যা মামলা সহ কয়েকটি মামলার দীর্ঘদিনের পলাতক আসামী বিএনপি নেতা ফারুক মিয়াকে গ্রেফতার করতে র‌্যাব-৯ সিলেট এর একদল সদস্য নবীগঞ্জের কসবা গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় আসামীকে সনাক্ত করতে যুবলীগ নেতা আজিজুল ইসলামকে সাথে নেয় এবং আসামী ফারুক মিয়াকে ধরতে সক্ষম হয় র‌্যাব। ফারুক মিয়াকে ধরিয়ে দিতে র‌্যাবকে সহযোগিতা করায় ফারুক মিয়াসহ তার সহযোগীরা আজিজুল ইসলামের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরদিন ৬ জুন বিকেলে স্থানীয় বান্দের বাজার থেকে আজিজুল ইসলাম বাড়ি ফেরার পথে ফারুক মিয়ার পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে আজিজুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত আজিজুল ইসলামের চাচাতো ভাই ইকবাল হোসেন স্বপন বাদী হয়ে মাহমুদ বক্স ও নঈম উদ্দিন, তফজ্জুল হুসেন, ময়ূর হুসেন, রিয়াদ আহমেদ সহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে নবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আসামীরা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাবরণ করে জামিনে রয়েছেন। বর্তমানে হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ময়ূর হুসেন সহ অন্যান্য আসামীরা মামলার বাদী ও সাক্ষীকে সাক্ষ্য না দেওয়ার জন্যে হুমকি দিয়ে আসছে মর্মে সম্প্রতি ইকবাল হোসেন স্বপন নবীগঞ্জ থানায় জিডি ও র‌্যাব-৯ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে আরো উল্লেখ করেন- যদি তারা সাক্ষী দেয় তাদেরও আজিজুলের পরিণতি হবে বলে হুমকি দিয়েছে, এই ভয়ে মামলার বাদী ও সাক্ষীরা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আজিজুলের পরিবারের লোকজন এবং প্রশাসন তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা না নিলে এলাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।