পাড়া মহল্লার মুদীমালের অনেক দোকানেই পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না

এসএম সুরুজ আলী ॥ হবিগঞ্জে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাজার মনিটরিং করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা। সূত্র জানায়, কোরবানীর ঈদের পর হবিগঞ্জে পেঁয়াজের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে সাধারণ ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের খুচরা মূল্য নেয়া হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। চৌধুরী বাজার ছাড়া অন্যান্য স্থানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার চৌধুরী বাজারে খুচরা ৭০ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। শহরের সবুজবাগসহ অন্যান্য স্থানে এলসি পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে গ্রামের বাজারগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০/৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ার কারণে গ্রামের ছোটখাটো দোকানসহ হবিগঞ্জ শহরের অনেক দোকানে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে পেঁয়াজ একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না। এসব ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বাজারে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে তাদের দোকানে পেঁয়াজ তুলছেন না। সবুজবাগ এলাকার নোভা সুপার সপ এর ম্যানেজার জানান, পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমাদেরকেও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া তিনি জানান, দেশী পেঁয়াজ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। এলসি পেঁয়াজের চেয়ে দেশী পেঁয়াজের মূল্য আরো বেশি। এলসি পেঁয়াজ তারা গতকাল প্রতি কেজি খুচরা ৭৫ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। রসুন প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, রসুন চায়না প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, মরিচ প্যাকেট প্রতি কেজি ৩১০ টাকা, হলুদ প্যাকেট প্রতি কেজি ২৮০ টাকা, ধনিয়া প্রতি কেজি প্যাকেট ১৭০ টাকা ও আদা ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বানিয়াচং উপজেলার আতুকুড়া বাজারের এক মুদিমাল ব্যবসায়ী জানান, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পাইকারী ব্যবসায়ীরা বাজারে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। যে কারণে চাহিদামতো পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য তার দোকানে কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন না। ওই ব্যবসায়ী পেঁয়াজের দাম কমানোর করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান। বৃহস্পতিবার চৌধুরী বাজার কাঁচামাল হাটায় প্রতি কেজি রসুন পাইকারী ১৩০ টাকা ও খুচরা ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আদা ১৫০ টাকা, হলুদ ১১০ টাকা, ধনিয়া ১০৫/১১০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার জন্য দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।
এদিকে পেঁয়াজের মূল্য বাড়ার কারণ হিসেবে পাইকারী ব্যবসায়ীরা আমদানি কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পেঁয়াজ নিজের গোদামে মজুদ করে রাখার কারণে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই পেঁয়াজের পাইকারী বাজারে দাম বাড়ার কারণে খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে সাধারণ ক্রেতারা পেঁয়াজ ক্রয় করতে ভোগান্তিতে পড়ছেন। নি¤œ আয়ের ক্রেতারা নিত্যদিনের রান্নার মসলার সঙ্গি পেঁয়াজ ক্রয় করতে এসে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।