স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জ ও মিরপুরে জমজমাট হয়ে উঠেছে তেল চুরি। চোরাকারবারিরা রাতের আধারে ট্রেন ও লরি থেকে এসব তেল চুরি করে খোলা বাজারে বিক্রি করছে। এতে করে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে রেলওয়ের অসাধু পুলিশ ও চালকদেরকে ম্যানেজ করেই নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে এ ব্যবসা।
সূত্র জানায়, শায়েস্তাগঞ্জ, লস্করপুর ও রশিদপুরসহ বিভিন্ন স্টেশনের অদূরের নির্জন স্থানে ট্রেন দাঁড় করিয়ে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা চোরাকারবারিদের চুরির সুযোগ করে দেয় ট্রেনের কতিপয় কর্মচারি।
অপরদিকে স্থানীয়রা জানান, নছরতপুর, লস্করপুর, মিরপুর তিতারকোনাসহ বিভিন্ন এলাকার চোরাকারবারিরা পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ বিভিন্ন লড়ি থেকে তেল পাচার করে আসছে। ইতোপূর্বে হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা বাহুবল যাবার সময় লস্করপুর রেল গেইট থেকে নাজমুল নামে একজনকে হাতে-নাতে আটক করে বাহুবল থানায় সোপর্দ করেছিলেন। এরপর কিছুদিন ওই সড়কে তেল চুরি বন্ধ থাকে। কিন্তু এবার পুরোদমে আবারও শুরু হয়েছে তেল চুরির হিড়িক। চোরাইকৃত তেলের মাঝে রয়েঝে পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন, মবিল ইত্যাদি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লড়ি চালক জানান, তেল চুরির বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন গাড়ির চালক। সোর্স থেকে ডিলার পয়েন্ট যাবার সময় মাঝ পথে তেল চুরি করে বিক্রি করলে টার্গেট থেকে ট্যাংকি কম হলে সেখানে কেবলমাত্র সাদা পানি দিয়ে টার্গেট পূর্ণ করেন। পরে ওই তেল আর কোন পরীক্ষা ছাড়া সরবরাহ করা হয় বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে। আর সেখানে ভেজাল মিশ্রিত তেল ব্যবহার করে বেকায়দায় পড়েন জনসাধারণ।