মোহাম্মদ শাহ্ আলম ॥ লাখাইয়ে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম মামলার প্রধান আসামীকে অভিযোগপত্র (চার্জসীট) থেকে নাম বাদ দেয়ার অভিযোগ করেছেন মামলার বাদি। অপরদিকে, মামলা তুলে নিতে আসামীপক্ষের লোকজন বাদিকে হুমকি দিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা যায়, লাখাই উপজেলার ভাদিকারা গ্রামের বরজু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া ও তার প্রতিবেশি মৃত গাবরু মিয়া ছেলে ইসলাম উদ্দিনের মধ্যে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১৯ মার্চ বিকেলে ইসলাম উদ্দিন ও তার লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সোহেল ও তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার সুমিকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ২৭ মার্চ সোহেল মিয়া বাদি হয়ে ইসলাম উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে চারজনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন লাখাই থানার ওসি তদন্ত অজয় চন্দ্র দেবকে। তিনি মামলাটি তদন্ত করে প্রধান আসামী ইসলাম উদ্দিনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদি সোহেল মিয়া বলেন- ‘ইসলাম উদ্দিনকে লাখাই থানার ওসি তদন্ত ইচ্ছাকৃতভাবে চার্জসীট থেকে নাম বাদ দিয়েছেন। এমনকি তিনি (ওসি তদন্ত) মামলা তদন্তের সময় বারবার আমাকে ইসলাম উদ্দিনের নাম বাদ দেয়ার জন্য চাপ দিয়েছেন।’
সোহেল মিয়া বলেন- ‘ঘটনার মুল হোতা ইসলাম উদ্দিন। তার নেতৃত্বেই আমাদের উপর হামলা করা হয়। এ ব্যাপারে আমার ৫ জন সাক্ষিও পুলিশকে জবানবন্দি দিয়েছে। এরপরও পুলিশ ইসলাম উদ্দিনের নামটা বাদ দিয়ে দিয়েছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে লাখাই থানার ওসি তদন্ত অজয় চন্দ্র দেব বলেন- ‘ইসলাম উদ্দিন ঘটনার সাথে কোনভাবেই জড়িত ছিলেন না। তাই তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।’