স্টাফ রিপোর্টার ॥ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতাকারী বাহুবল উপজেলার ৫নং লামাতাশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি নুরুজ্জামান কনু, সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান তৌহিদ, ইউনিয়ন কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক রিপন মিয়া এখনো ধরাছোয়া বাইরে রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা সাবেক এমপি দেওয়ান শাহনওয়াজ (মিলাদ গাজী) এর সাথে সুসম্পর্ক থাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের ১৭ বছর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন নুরুজ্জামান কনু, মহিবুর রহমান তৌহিদ ও রিপন মিয়া। তাদের জন্য এলাকায় কেউ বিএনপি’র নাম মুখে নিতে পারেননি। অভিযোগ রয়েছে, তারা সরকারি গভীর নলকূপ বরাদ্দ নিয়ে সেইগুলো এলাকার বিভিন্ন লোকজনদের কাছে বিক্রি করেছেন। নলকূপ বিক্রি করেই তারা লাখ লাখ টাকা কামাই করেছেন। শুধু তাই নয়, তারা এলাকায় এমপি’র কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকল্প বরাদ্দ এনে সেই প্রকল্পের টাকাও আত্মসাত করেছেন। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়নি। এখনো তারা এলাকায় বীরদর্পে চলাচল করছেন। জুলাই’র ছাত্র আন্দোলনে কঠোর বিরোধিতা করেছেন ওই তিন ব্যক্তি। সেই সময় তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আওয়ামীলীগের সকল কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহন, অর্থ প্রদান করেছেন। ৫ আগস্টের পর তারা যেমন প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছেন, তেমনি বীরদর্পে ব্যবসা-বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। এতে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের মাঝে। আন্দোলনকারীরা তাকে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে। এ ব্যাপারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য সচিব মাহদী হাসান জানান, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যারা আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। তাদের আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার না করলে আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহন করবো। এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম জানান, জুলাই’র ছাত্র আন্দোলনের বিরোধীতাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদের সন্ধান পেলে অবশ্য আমরা গ্রেফতার করবো।