
হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজমিরীগঞ্জ উপজেলার মামুদপুর গ্রামে নিরীহ দুই ব্যক্তির ৬০শতক জায়গা জোরপূর্বক দখলে নেয়ার পায়তারা করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে জায়গার মালিকদের বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাংচুর, লুটপাট ও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ওই জায়গা থেকে সরে না আসলে তাদের হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দিচ্ছে মহলটি। এতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন জায়গা মালিকরা।
সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ওই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল হাসিমের ছেলে মোঃ জাকির হোসেন ও একই গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ছেলে আবুল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা জানায়, উপজেলার মামুদপুর মৌজার আর.এস ৭৪৩নং দাগে জাকির হোসেন ও আবুল হোসেনের মালিকানাধিন ৬০ শতক বাড়ি রকম ভূমি রয়েছে। বিভিন্ন সময় তারা দুজন একই গ্রামের কনোজ কুমার রায়, চন্দন কুমার রায়, অলেক মিয়া, মানিক লাল রায় ও তার ছেলে সুমন রায়ের কাছ থেকে পৃথকভাবে ৬০ শতক ভূমি ক্রয় করে ঘর-বাড়ি ও দুটি দোকান ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন।
সম্প্রতি তাদের পাশর্^বর্র্তী বাসিন্দা মৃৃত অশি^নী কুমার রায়ের ছেলে অমল কুমার রায় ও তার লোকজন তাদের মালিকানাধিন ৬০ শতক ভূমি জোরপূর্বক দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে। তাদেরকে বিভিন্ন সময় জায়গা ছেড়ে চলে আসতে চাপ সৃষ্টি করছে। এক পর্যায়ে জায়গা থেকে সরে না আসায় গত ৯ এপ্রিল জাকির হোসেন ও আবুল হোসেনসহ তাদের লোকজনকে আসামী করে হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে ১০ লাখ টাকার মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে অমল কুমার। শুধু তাই নয়, গত ১১ এপ্রিল অমল কুমার রায় ও তার ভাতিজা অনিক কুমার রায় মিলে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৪০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক ভাড়া করে তাদের বাড়ি ঘর ও দোকানপাটে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় হামলাকারীরা তাদের দোকানের মালামাল ও নগদ টাকা লুুট করে নিয়ে যায় বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেছেন বলে তারা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন।
তারা জানান, এ ঘটনায় অমল কুমার রায়সহ অন্যান্য হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আজমিরীগঞ্জ থানা ও আদালতে তারা দুটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীরা তাদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। যে কোন সময় অমল কুমার ও তার লোকজন জাকির হোসেন ও আবুল হোসেনসহ তাদের পরিবারের লোকজনকে হত্যা করে লাশ গুম করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।