স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে মোজাম্মেল নামে এক শিশুকে বুকের ব্যথা নিয়ে ভর্তি করা হলেও তাকে দেয়া হয় পয়জনিং এর চিকিৎসা। অবশেষে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই শিশুটি মারা যায়। আর তখনই তাকে ভুল চিকিৎসার বিষয়টি ধরা পড়ে।
জানা যায়, গত রবিবার বিকেলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের নোয়াখাল গ্রামের সজল মিয়ার পুত্র মোজাম্মেল (১০) ধান ক্ষেত থেকে বাড়ি এসে তার মাকে জানায় বুক ব্যথা করছে, পানি পান করবে। এক পর্যায়ে তার অবস্থা খারাপ দেখে তাকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তার পরিবারের লোকজনকে কিছু জিজ্ঞেস না করেই জরুরি বিভাগে থাকা ভর্তি খাতায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রাদার পয়জনিং লেখে ভর্তি করেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেই অনুযায়ী মোজাম্মেলকে চিকিৎসা দিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। কিছুক্ষণ পর ওই শিশুটি মারা যায়। তখন ডাক্তার পয়জনিং অর্থাৎ বিষাক্রান্ত অবস্থায় মারা গেছে মর্মে সদর থানায় চিঠি দেন। চিঠি পেয়ে সদর থানার এসআই বিশ^জিৎ এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন। পরে ওসি একেএম সাহাবুদ্দিন শাহীন ঘটনাস্থলে একজন এসআইকে পাঠান। তিনি সেখানে গিয়ে জানতে পারেন বুকে ব্যথার কারণে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পুলিশের ধারণা শিশুটি হিট¯্রােকে মারা গেছে, বিষের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে ধু¤্রজাল সৃষ্টি হলে পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করে।
শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের ভর্তি খাতায় ভুল তথ্য লিপিবদ্ধ করায় শিশুটির ভুল চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের মৃত শিশুকে কাটাছেড়া করতে হয়েছে। তারা এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।