
মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি) ধান ১০২ ও ১০৪ জাতের প্রদর্শনীর বোরো ধান করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ১শ’ কৃষক। শত কৃষকের নতুন জাতের বাম্পার ফলন দেখে স্থানীয় কৃষকরা নতুন জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। নতুন জাতের এ ধানে খরচ কম উৎপাদন বেশি। শনিবার দুপুরে উপজেলার গোপিনাথপুর মাঠে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে ফসলের মাঠে এলাকার কৃষকদের নিয়ে ধান কর্তন করেছেন।
কৃষক আব্দুল বাছিত বধু মিয়া জানান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট গাজীপুর পরামর্শে গোপিনাথপুর মাঠে ব্রি ধান ১০২’ ও ব্রি ধান ১০৪ জাতের ধান ১০০ কৃষক চাষাবাদ করেন। এ ধান অন্যান্য জাতের ধানের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম খরচে বাম্পার ফলন হয়েছে। হবিগঞ্জ নাগুড়া ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হীরেন্দ্র নাথ বর্মণ বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর চালের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু চাষাবাদযোগ্য জমি দিন দিন কমছে। সেদিক চিন্তা করে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট গবেষণা করে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান আবিষ্কার করে যাচ্ছে। আমরা সরাসরি কৃষকদের নতুন জাতের চাষাবাদের জন্য কৃষকদের দিচ্ছি। হাইব্রীড ধান সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. প্রিয়লাল বলেন, কম জমিতে বেশি ধান উৎপাদন করতে উচ্চফলনশীল জাতের ধান চাষাবাদ করতে কৃষকদের আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। এ জাতের ধানে সহনশীল মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করলেই চলে। শত কৃষকের ফসলের মাঠে ধান কর্তন উৎসবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোস্তফা বিন আফজাল, সাংবাদিক আলাউদ্দিন আল রনি, আলমগীর কবির, সাবেক পৌর কাউন্সিলর গোলাপ খান প্রমূখ।