
এম এ মজিদ ॥ টিকটক তৈরি করতে গিয়ে পবিত্র কোরআনের সূরা ফাতিহার দুটি আয়াতকে বিকৃত করে উপস্থাপন করেছেন টিকটকার ইব্রাহিম মিয়া ও মুক্তা বেগম। তারা সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী। তাদের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দক্ষিন ছয়শ্রী গ্রামে। তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা, অশালীন কথাবার্তা দিয়ে কন্টেন্ট তৈরী, উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের টিকটক কাজে ব্যবহার করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ইব্রাহিম-মুক্তার বিরুদ্ধে। ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত, এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) হবিগঞ্জের আদালতে মামলা দায়ের করেন অ্যাডভোকেট সেলিম আহমেদ। বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ। মামলার বাদী অ্যাডভোকেট সেলিম আহমেদ জানান- ভিডিওতে পবিত্র কোরআনকে অবমাননা করা হয়েছে। ক্ষুব্দ হয়ে অত্র মামলা দায়ের করেছি। বিচারক কামরুল হাসান মামলাটি এফআইআর গণ্যে রুজু করতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, একটি কন্টেন্ট তৈরী করতে গিয়ে ইব্রাহিম জুমার নামাজে যাওয়ার পথে ইচ্ছাকৃতভাবে মুক্তার হাতে থাকা কিছু চাল ফেলে দেয়, তখন মুক্তা ব্যঙ্গ করে বলে “মালিকি ইয়ামিদ্দিন” পাল্টা জবাবে ইব্রাহিম ব্যাঙ্গ করে বলে “ইয়্যা কানাবুদু ওয়া ইয়্যা কানাস্তাঈন। ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। চাল ফেলে দেয়ার সাথে কোরআনের কোনো যোগসূত্র না থাকা স্বত্বেও পবিত্র কোরআনকে এখানে ব্যাঙ্গ করার জন্যই উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ। এ ব্যাপারে ইব্রাহিম মুক্তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য চেষ্টা করা হলেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। গত কয়েকদিন যাবত তারা পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে।