স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি ও এএসপি খলিলুর রহমান সহ ৭৬ পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন শহরের ইনাতাবাদ এলাকার মৃত হরমুজ আলীর পুত্র বিএনপি নেতা এসএম আব্দুল আউয়াল। ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সদর থানায় তিনি এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- ইন্সপেক্টর নিরস্ত্র মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, হবিগঞ্জ সদর থানার সাবেক ওসি অজয় চন্দ্র দেব, ডিবির ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক নিরস্ত্র রাশেদুল হক, এসআই মোখলেছুর রহমান, এসআই ইয়াকুব আলী, এসআই মোঃ আলমগীর, এএসআই সোহেল দেব, এএসআই মির্জা আব্দুল ওয়াদুদ, এএসআই মিয়াদুর রহমান, এসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই সোহেল রানা, এএসআই সাকের আহমেদ, এএসআই বাসু কান্তি দাশ, নায়েক পল্লব দেবনাথ, এসআই অভিজিত ভৌমিক, আওয়ামী লীগ নেতা মাধবপুরের মেহেরপুর গ্রামের মৃত আলী নেওয়াজ এর পুত্র মোঃ ওবায়দুল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগর আলগা বাড়ির মৃত জহির মিয়ার ছেলে মোঃ লুৎফুর রহমান কাউছার, লাখাইর কাটিয়ারা বামৈ গ্রামের মৃত মিয়া হোসেনের পুত্র মাহফুজ আলম মাহফুজ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘলবাক ফকির হাটির মৃত আম্বর আলীর পুত্র শাহীন মিয়া, লাখাইর বামৈ পশ্চিমবাগ গ্রামের মৃত বালিস্টির মিয়ার পুত্র মোঃ রুহুল আমিন, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘলবাক গ্রামের মৃত মনছব উল্লার ছেলে নুর মিয়া, বানিয়াচং উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক এমপি এডভোকেট আবু জাহিরের পিএস সুদিপ চন্দ্র রায়, হবিগঞ্জ শহরের উত্তর শ্যামলী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট লুৎফুর রহমান, হবিগঞ্জ শহরের বাণিজ্যিক এলাকার মোদক ফার্মেসীর প্রবাল মোদক, শহরের কালীবাড়ি ক্রসরোডের বাসিন্দা হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা শঙ্খ শুভ্র রায়, চুনারুঘাটের বাসুল্লার মৃত হুমায়ুন রশিদ ওরপে অরুন মিয়ার পুত্র এডভোকেট আবু সাঈদ, হবিগঞ্জ শহরের অনন্তপুরের মোহাম্মদ আলীর পুত্র তানভীর, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি গ্রামের বাসিন্দা শ্রমিক লীগ সদরের সভাপতি তাজুল ইসলাম ওরপে তাজুল মৌহরী, হবিগঞ্জ শহরের চিড়াকান্দির কৃষ্ণ কান্ত দাশ, মৎস্যজীবী লীগ নেতা শায়েস্তাগঞ্জের চানপুরের নসিব আলীর ছেলে আব্দুল মালেক, হবিগঞ্জ শহরের রাজনগরের সাব্বির আহমেদের পুত্র ছাত্রলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন সেতু, মোহনপুরের রইছ উল্লার পুত্র যুবলীগ নেতা আরশাদ আহমেদ হারুন, সদর উপজেলার রিচি গ্রামের মোঃ নুর মিয়ার পুত্র যুবলীগ নেতা মোঃ ওয়াসিম মিয়া, হবিগঞ্জ শহরের দক্ষিণ মোহনপুরের সিরাজুল ইসলাম তালুকদার ওরপে ফুল মিয়ার পুত্র যুবলীগ নেতা আলমগীর তালুকদার, শহরের শায়েস্তানগরের বাচ্চু মিয়ার পুত্র মোস্তাক মাহফুজ, শহরের পূর্ব মাহমুদাবাদের আকবর আলীর পুত্র মোঃ শামছুল হক, সদর উপজেলার বারাপৈল গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র জয়নাল আবেদীন, হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজারের বাসিন্দা মৃত আমির আলী চৌধুরীর পুত্র সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, শহরতলীর সুলতানমাহমুদপুরের আব্দুল আজিজের পুত্র আবুল কাশেম, উত্তর তেঘরিয়ার মৃত মজিদ আলীর পুত্র সালেহ আহমেদ বারিক, শহরতলীর বড়বহুলার নুর আলীর পুত্র শেখ আহাদ, হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগর আলগা বাড়ির মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র মোঃ মিজান মিয়া, নবীগঞ্জের উমরপুর গ্রামের মৃত হাজী রব্বান মিয়ার পুত্র হারুনুর রশিদ ইয়ার মিয়া ও ফারছু মিয়া, হবিগঞ্জ শহরের পুরান মুন্সেফী এলাকার হাফাই মিয়ার পুত্র মেহেদী হাসান ইশান, হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগর আলগা বাড়ির মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র মোঃ নিজাম মিয়া, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বারাপৈল গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর পুত্র সাইদুর মিয়া, চুনারুঘাটের গাতাবলা গ্রামের মৃত আব্দুল শহীদ চৌধুরীর পুত্র হাজী লুৎফুর রহমান চৌধুরী, বনগাঁও গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল ছত্তারের পুত্র লুৎফুর রহমান ছুরুক, বানিয়াচং উপজেলার উত্তর সাঙ্গর গ্রামের কিম্মত আলীর পুত্র জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি, হবিগঞ্জ শহরের অনন্তপুরের আব্দুল মালেকের পুত্র মিজানুর রহমান আরিফ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি গ্রামের মছদ্দর আলীর পুত্র জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান, হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজারের মৃত আব্দুর রহিমের পুত্র জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুর রহমান রবিন, হবিগঞ্জ শহরের দেয়ানত রাম সাহার বাড়ির রইছ মিয়ার পুত্র হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, শহরের কালীগাছতলা এলাকার মৃত মোক্তার মিয়ার পুত্র হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি গ্রামের মৃত আমির আলীর পুত্র বদরুল আলম, শায়েস্তাগঞ্জের তালুগড়াইর মৃত চান্দু মিয়ার পুত্র শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ছালেক মিয়া, বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর ইউনিয়নের নোয়া পাথারিয়া গ্রামের আশিক মিয়ার পুত্র ডিপজল, শহরতলীর মাছুলিয়ার মৃত সুরুজ আলীর পুত্র চান্দু মিয়া, কাকিয়ারআব্দার জহুর আলীর পুত্র মোঃ দুলাল আহমেদ, হবিগঞ্জ শহরের ঝিলপাড়ের সুন্দর আলীর পুত্র শাহ জোবায়ের রহমান নাজু, শহরের পুরান মুন্সেফী এলাকার মোবাশি^র আহমেদ চৌধুরীর পুত্র দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, শহরতলীর বড় বহুলার আলাউদ্দিনের পুত্র সুজন আহমেদ, গোসাইপুরের মৃত শাহ গোলাম মোহাম্মদের পুত্র শাহ্ মোহাম্মদ গোলাম জিলানী, চৌধুরী বাজারের মৃত মনির মিয়ার পুত্র রুহুল আমিন, শায়েস্তাগঞ্জের পুরাসুন্দা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম রশিদির পুত্র মোঃ মাহমুদ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লুকড়া ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের ফজর আলীর পুত্র মোঃ ফারুক মিয়া, হবিগঞ্জ শহরের পুরান মুন্সেফী মৃত নুর মিয়ার পুত্র রাজিব আহমেদ সফিক, শহরতলীর সুলতান মাহমুদপুরের জাফর আলীর পুত্র মোঃ রাজু মিয়া, একই গ্রামের ফিরোজ আলীর পুত্র মোঃ শাহজাহান, বানিয়াচং উপজেলার ১০নং সুবিদপুর ইউনিয়নের মশাকলী গ্রামের মৃত হরকুমার দাশের পুত্র সুবিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার জয়কুমার দাশ ও হবিগঞ্জ শহরের উত্তর শ্যামলীর ফুল মিয়ার পুত্র জুবায়ের আহমেদ। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত ১শ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। ওসি আলমগীর কবির মামলা রুজু করে ওসি তদন্ত সজল সরকারকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়- ২০২৩ সালের ১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা আলহাজ¦ জি কে গউছের বাসার বৈঠকখানায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলাকালে এসপি মুরাদ আলি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেপরোয়াভাবে লাঠিচার্জ, গুলিবর্ষন এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে অসংখ্য নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও আহত হন। এ সময় বাদী বিএনপি নেতা আউয়ালের চোখে-মুখে ও সারা শরীরে গুলি লাগে এবং তার চোখ নষ্ট হয়। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে পুলিশের সাথে মিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর গুলি নিক্ষেপ করে।