নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ শহরের খালিক মঞ্জিলের একাংশের স্বত্ত্বাধিকারী মিনাল ও দিলালের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার বাদী ছাও মিয়াকে হত্যার হুমকি এবং পূর্ব জাহিদপুর গ্রামের খসরু মিয়া সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। দুটো মামলার একটিতে সমন এবং অপর মামলায় নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে এমসি সংগ্রহ করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন হবিগঞ্জের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে স্থানীয় মীরখালি বাজারে যাবার পথে বাড়ির উত্তর পাশে যাওয়ামাত্র দিলাল, মুহিত, বাছিত মিয়া, জুনেদ, কুহিনুর, আমিনুল, ইমানুল, রহমত মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে খালিক মঞ্জিল একাংশের স্বত্ত্বাধিকারী দিলালসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার বাদী পূর্ব জাহিদপুর গ্রামের তাইদ মিয়ার পুত্র ছাও মিয়াকে হত্যার হুমকি দেন। এছাড়াও দিলাল চৌধুরীর সহোদর মিনাল চৌধুরী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন সেলিমকে নিজেদের লোক হিসেবে দাবি করে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন। এতে আতংকিত ছাও মিয়া ফৌজধারী কার্যবিধি ১০৭/১১৪/১১৭ (সি) ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করেন। মামলার শুনানী শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারী করেন। অপরদিকে, নবীগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব জাহিদপুর গ্রামের ময়না মিয়ার পুত্র খসরু মিয়া বাদী হয়ে মিনাল ও দিলাল চৌধুরী, কুহিনুর মিয়া, মোহিদ ও রহমত মিয়া সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে বরকতপুর মৌজার জেএল নং ৯৭ খতিয়ান নং ১৪৭, দাগ নং ৬২৫,৬২৮,৬২৯,৬৩০ এর মোট ১.২৮ একর আমন শ্রেণির ভূমি দখল নিয়ে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়- গত ৮ অক্টোবর উল্লেখিত আসামীরা হামলা চালিয়ে খসরু মিয়া ও তার লোকজনকে গুরুতর আহত করেন। অভিযোগের শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক এমসি সংগ্রহ পূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে আদেশ দেন।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com