জাবেদ তালুকদার ॥ নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নবীগঞ্জ উপজেলার সূজাপুর গ্রামের অগ্নিদগ্ধ ৬ জনের মধ্যে বেঁচে রইলো না কেউই। অগ্নিকান্ডের ২ সপ্তাহের মধ্যে একে একে চলে গেলেন পরিবারের সবাই।
স্বামী বাবুল মিয়া ও তিন সন্তানের মৃত্যুর পর গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) বেলা ১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন শেলি বেগম (৩৬)। এবার মারা গেলেন শেলি বেগমের পুত্রবধূ মুন্নি (১৮)। নিহত মুন্নি নবীগঞ্জ উপজেলার ৯নং বাউসা ইউনিয়নের সূজাপুর গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। আগুনে মুন্নির শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর রাত পৌনে ১১টার দিকে রূপগঞ্জ ডহরগাঁও গ্রামে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হন।
জানা যায়, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নবীগঞ্জ উপজেলার সূজাপুর গ্রামে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার ডহরগাঁও এলাকার ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকতেন তারা। বাবুল রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। স্ত্রী শেলি এনজেড নামে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সোহেল ফকির ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। আর সোহেলের স্ত্রী মুন্নি গৃহিণী এবং ইসমাইল ও তাসলিমা বাসাতেই থাকত। ওই বাসায় পাশাপাশি রুমে ছিলেন নিহত বাবুল মিয়ার চাচাতো ভাই এনামুল হক। বাবুলের ঘরে গ্যাস টেনে আনার জন্য একটি কম্প্রেসর মেশিন আছে। রাতে তাঁরা খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ কম্প্রেসর মেশিন বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তাঁরা ৬ জন দগ্ধ হন। পরে প্রতিবেশীরা তাঁদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়।