এফ আর হারিছ, বাহুবল থেকে ॥ বাহুবলে বাসচাপায় অর্ঘ্য দেব (১৪) নামে মোটরসাইকেল আরোহী এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কল্যাণপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা প্রায় ২ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুটিজুরী ইউপি সদস্য আখলাছ মিয়া, রুবেল আহমেদ, ইসমাঈল আহমেদ ও পুটিজুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করলে তারা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দ্বিগাম্বর বাজার অর্ঘ্য ডেকোরেটার্স এন্ড সাউন্ড সিস্টেম এর স্বত্ত্বাধিকারী, স্থানীয় সম্ভুপুর গ্রামের বাসিন্দা অর্জুন দেবের একমাত্র পুত্র, পুটিজুরী শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্ঘ্য দেব দ্বিগাম্বর বাজার থেকে বাড়ি যাবার পথে উল্লেখিত স্থানে পৌঁছলে ঢাকা থেকে সিলেটগামী মিতালী পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অর্ঘ্য মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। একমাত্র পুত্রের মৃত্যু সংবাদ শুনে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পিতা অর্জুন দেব। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুটিজুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুস সালাম জানান, অর্জুন দেব তার একমাত্র ছেলে অর্ঘ্য দেবকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে দিগাম্বর বাজারস্থ নিজ দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ঢাকা থেকে সিলেটগামী মিতালী পরিবহনের একটি বাসের চাপায় মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা অর্ঘ্য দেব ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তার বাবা অর্জুন দেবকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাসচাপায় ছেলে নিহত ও বাবা আহত হওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জড়ো হলে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি তৈমুর ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বিকেল ৫টার দিকে অর্ঘ্যর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।