ডেস্ক রিপোর্ট ॥ সরকারি অফিসে একবার ব্যবহার করা যায় (সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক) এমন প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় প্লাস্টিকের ফাইল, ফোল্ডারের পরিবর্তে কাগজ বা পরিবেশবান্ধব অন্যান্য সামগ্রীর তৈরি ফাইল ও ফোল্ডার ব্যবহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্লাস্টিকের ব্যাগের পরিবর্তে কটন-জুট ফেব্রিকের ব্যাগ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। প্লাস্টিকের পানির বোতলের পরিবর্তে কাঁচের বোতল ও কাঁচের গ্লাস ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্লাস্টিকের ব্যানারের পরিবর্তে কটন ফেব্রিক, জুট ফেব্রিক বা বায়োডিগ্রেডেবল উপাদানে তৈরি ব্যানার ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে। দাওয়াতপত্র, ভিজিটিং কার্ড ও বিভিন্ন ধরনের প্রচারপত্রে প্লাস্টিকের লেমিনেট পরিহার করতে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন সভা-সেমিনারে সররাহকৃত খাবারের প্যাকেট যেন কাগজের হয়, পরিবেশ বান্ধব হয়, নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের প্লেট, গ্লাস, কাপসহ সব ধরনের পণ্য পরিহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্লাস্টিকের কলমের পরিবর্তে পেনসিল বা কাগজের কলম ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। বার্ষিক প্রতিবেদনসহ সকল ধরনের প্রকাশনায় লেমিনেটেড মোড়ক ও প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিহার করা এবং ফুলের তোড়াতে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতেও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বর্ণিত বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং আওতাধীন দপ্তর, সংস্থাসমূহকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য সব সিনিয়র সচিব, সচিব, বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকগণকে অনুরোধ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অপরদিকে, প্লাস্টিকদূষণে সচেতনতা তৈরি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সচিবালয়কে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষণার উদ্যোগ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৫ আগস্ট জারিকৃত এক পত্রের মাধ্যমে সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগের সচিবদের অনুরোধ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে ১৭ ধরনের বস্তু, সামগ্রী, পদার্থকে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয় এবং পরদিন জারিকৃত এক অফিস আদেশে পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর, সংস্থাসমূহে ব্যক্তিগত ও দাপ্তরিক পর্যায়ে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ ঘোষণা’ করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।