বন্যার্তদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণকালে জি কে গউছ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- হবিগঞ্জের মানুষ যদি আমাকে পছন্দ করেন আর বড় পরিসরে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পাই তাহলে সকল মানুষ সমানভাবে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে। কারণ আমার কোনো পিছুটান নেই। আমি কোনো দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি, ভবিষ্যতেও কোনো অন্যায়ের সাথে আমার সম্পর্ক থাকবে না, ইনশাআল্লাহ। যারা অন্যায় করে তাদের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। দলের লোকজন যারা মনে করছেন আমাকে দিয়ে প্রভাব বিস্তার করবেন, তারা বোকার রাজ্যে বাস করছেন। নিজেরা অন্যায় করবেন না, অন্যকে অন্যায় করার সুযোগ দিবেন না। যারা খাল দখল, বিল দখল, সরকারি সম্পদ দখলের চেষ্টা করবেন তারা বিএনপি করতে পারবেন না। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৯০টি পরিবারের মাঝে নগদ ১ হাজার টাকা করে বিতরণকালে এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এই অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। পরে তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৪৪টি পরিবারের মাঝে নগদ ১ হাজার টাকা করে বিতরণ করেন।
এ সময় জি কে গউছ আরও বলেন- আওয়ামী লীগের পরিণতি থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আওয়ামী লীগ যে অপকর্ম করেছে তা আমরা করলে আমাদের পরিণতিও একই হবে। তাই আমাদেরকে ভালো কাজ করতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো দুস্কৃতিকারী সুযোগ সন্ধানী দুষ্ট লোকের সাথে বিএনপির সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন- ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের একটি মিথ্যা মামলায় আমি সিলেট কারাগারে বন্দি ছিলাম। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে হবিগঞ্জ পৌরসভায় মনোনয়ন দিলেন। হবিগঞ্জের মানুষ খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সকল ধর্মের মানুষ দল মতের উর্ধ্বে উঠে ধানের শীষে ভোট দিয়ে আমাকে মেয়র নির্বাচিত করেছিলেন। তাই খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান হবিগঞ্জের মানুষের কথা মনে রেখেছেন। উজান থেকে নেমে আসা খোয়াই নদীর পানিতে হবিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। খালেদা জিয়ার নির্দেশে তারেক রহমান হবিগঞ্জের বন্যার্ত মানুষের জন্য অর্থ সহায়তা প্রেরণ করেছেন। বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাদেরকে নির্দেশ নিয়েছেন। যতদিন পর্যন্ত বন্যার্ত মানুষ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না যাবে ততদিন পর্যন্ত বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম ইসলাম তরফদার তনু, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, যুগ্ম আহ্বায়ক আজম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, মুজিবুর রহমান, দেওয়ান মুহাইমিন চৌধুরী ফুয়াদ, মর্তুজা আহমেদ রিপন, জয়নাল আবেদিন, নজরুল ইসলাম কাওছার, কাজী শামছু মিয়া, শিপন আহমেদ আছকির, মামুন আহমেদ প্রমূখ।