আমি অ্যাডভোকেট পূণ্যব্রত চৌধুরী, ঘোষণা করছি যে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, হবিগঞ্জ জেলা শাখার মূল কমিটির মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি থাকার কারণে বিগত দিনে তারা মেয়াদকালীন সময়ে কাউন্সিল করতে না পারায় কেন্দ্রীয় কমিটি হবিগঞ্জ জেলা কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করে দেন। উক্ত আহবায়ক কমিটিতে আমাকে আহবায়ক এবং শংকর পাল মহোদয়কে সদস্য সচিব করে ৯০ দিনের ভিতরে নতুন কমিটি গঠন করার সময় সীমা বেঁধে দেয়া হয়। পুরাতন কমিটির কোন্দলের কারণে আমাদের পক্ষে মেয়াদকালীন সময়ে কমিটি করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে পুরাতন কমিটির কোন কোন সদস্য বাদী হয়ে আমাদের এই আহবায়ক কমিটির নিয়োগকে অবৈধ দাবি করে সিনিয়র জজ, সদর, হবিগঞ্জ আদালতে স্বত্ব ৩৫৬/২৩ মোকদ্দমা দায়ের করেন। এতে আমার সম্মানহানি হয়েছে। প্রকাশ থাকা আবশ্যক যে, এই কমিটির আহবায়ক হওয়ার পূর্বে বিগত ৩০ বৎসরের ভিতর আমি এই সংগঠনের প্রাথমিক সদস্যও ছিলাম না। এমতাবস্থায় আমি এই বৃদ্ধ বয়সে মোকদ্দমা পরিচালনা, মোকদ্দমার খরচ বহন ও মোকদ্দমায় হাজির হওয়া কোন অবস্থাতেই সম্ভব নয়। আমার পরিবারের লোকজনও কোন অবস্থাতেই বৃদ্ধ এবং অসুস্থ অবস্থায় আমাকে এই সংগঠন চালিয়ে যেতে দিতে নারাজ। সবদিক বিবেচনা করে বিশেষত ৭৫ বৎসর বয়সে আমি এই সংগঠনের সাথে আর জড়িত থাকতে মোটেও ইচ্ছুক নই। অদ্য আমি ঘোষণা করছি যে, আমি স্বেচ্ছায় এই সংগঠনের আহবায়ক পদ হতে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র দাখিল করেছি। প্রকাশ থাকা আবশ্যক যে, বিজ্ঞ আদালতে মোকদ্দমা দায়েরের পর হতে প্রায় ৯ মাস যাবৎ সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত আছে এবং এই আহবায়ক কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর আর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়নি। আমার জন্য দোয়া/আশির্বাদ করবেন।
অ্যাডভোকেট পূণ্যব্রত চৌধুরী