স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মোস্তাক আহমেদকে গুলি করে হত্যা ও কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহিরের সাথে হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি শাহ মো: আলমগীর সোহাগকেও আসামী করা হয়েছে।
গতকাল হবিগঞ্জ পৌর এলাকার উমেদনগরের বাসিন্দা হাজী লুৎফুর রহমান নানুর ছেলে এস. এম মামুন মিয়া বাদি হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আরো যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নেওয়াজ, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী, লাখাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, ১৩নং মন্দরী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সামছুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবু জাহিরের ছেলে রিফাত জামিল, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল।
মামলা ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২ আগস্ট বিকেল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা শহরের তিন কোনা পুকুরপাড় এলাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরীর প্ররোচনা ও উস্কানিতে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ লাঠি সোটা ও অগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জড়ো হলে সংঘর্ষ বাধে। কয়েকঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতারা গুলি ছুড়লে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। এতে হবিগঞ্জ পিডিবি’র অস্থায়ী লাইনম্যান ও সিলেট জেলার টুকের বাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে মোস্তাক আহমেদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।