মোঃ মামুন চৌধুরী ॥ টানা কয়েক দিন বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে মঙ্গলবার বিকেল থেকে খোয়াই নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। রাত গভীরের সাথে সাথে শায়েস্তাগঞ্জের সুদিয়াখলা, চরনূরআহাম্মদ, লেঞ্জাপাড়া, কলিমনগর, আলাপুরসহ কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভাঙার আশাঙ্কা দেখা দেয়। স্থানীয় লোকজন বাঁধ রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা করেন। লোকেরা নিজ উদ্যোগে মাটি বস্তায় ভরাট করে বাঁধে দেন। এতে বাঁধ রক্ষা পায়। কিন্তু নদীর গর্জনে লোকজন আতঙ্কের মধ্যে নির্ঘুম রাত অতিবাহিত করেন। একইভাবে বুধবার দিনের পর রাতে আতঙ্ক বেড়ে যায়।
ভারতের ত্রিপুরা থেকে বয়ে আসা খোয়াই নদী চুনারুঘাট হয়ে শায়েস্তাগঞ্জের পাশ দিয়ে চলে গেছে। বর্ষায় হঠাৎ এ নদীর গর্জন দেখা দেয়। গর্জনে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন নদীপাড়ের লোকেরা। অনেকের মন্তব্য ১৯৯৩ সালের পর নদীর এমন ভয়াবহ রূপ দেখেছেন। আবার অনেকে বলেন ১৯৮৮ সালের বন্যায়ও এমন পানি নদীতে দেখা যায়নি।
কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত এবং নদীর ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে নদীপাড়ের লোকজনের জন্য বিরাট হুমকী হয়ে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শন করতে আসা লোকজন।
খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও বাপার জেলা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, খোয়াই নদীর বাঁধগুলো খুবই অরক্ষিত। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন, বালু পরিবহন এবং নদীতীরে ভারী ট্রাক্টর যন্ত্র ব্যবহার করার কারণে নদী ও তার তীর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।