বায়তুস সালাম জামে মসজিদে জুমার খুৎবায় মুফতি মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ

সৈয়দ মিজান ইব্রাহীম ॥ হবিগঞ্জ শহরের নিউ মুসলিম কোয়ার্টার (গোসাইপুর) এলাকাস্থ বায়তুস সালাম জামে মসজিদে জুমার খুৎবায় মুফতি মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ বলেছেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া’তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না এবং মানুষের ধন-সম্পত্তির কিছু অংশ জেনে বুঝে অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে বিচারককে ঘুষ দিও না।’ তিনি বলেন, টাকা-পয়সা বা কোনো বস্তু প্রদান করে এমন জিনিস হাসিল করা, যাতে দাতার কোনো অধিকার নেই, শরীয়তের পরিভাষায় তাকেই ঘুষ বলা হয়। ঘুষ খাওয়া হারাম, ঘুষ আদান-প্রদান করা লা’নতযোগ্য কাজ। এ সম্পর্কে হাদীসে মুবারাকা’হ উল্লেখ করেন, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (স.) ঘুষ গ্রহণকারী ও ঘুষ প্রদানকারীর উপর অভিশাপ করেছেন। বিচার-ফায়সালায় ঘুষ দাতা ও ঘুষ গ্রহীতা উভয়ের উপরে আল্লাহ তা’আলা লা’নত করেছেন।
রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, আমি যাকে ভাতা দিয়ে কোনো কাজের দায়িত্ব প্রদান করেছি সে যদি ভাতা ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহণ করে তাহলে তা হবে খিয়ানাত। যে ব্যক্তি কারো জন্য সুপারিশ করল এবং সেই সুপারিশের প্রতিদান স্বরূপ তাকে কিছু উপহার দিল, যদি সে তা গ্রহণ করে তাহলে সে সুদের দরজাসমূহের একটি বড় দরজায় উপস্থিত হলো। যখন কোনো জাতির মাঝে যিনা-ব্যভিচার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে তখন তারা দুর্ভিক্ষে পতিত হয়। আর যখন তাদের মাঝে ঘুষের ব্যাপক প্রচলন শুরু হয় তখন তারা শত্রুর ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে। যে ব্যক্তি অবৈধভাবে কোনো মুসলিমের কোনো সম্পদ আত্মসাৎ করবে তার জন্য আল্লাহ জাহান্নাম ওয়াজিব করে রেখেছেন এবং জান্নাত হারাম করে রেখেছেন। যে দেহের গোশত হারাম মাল দ্বারা গঠিত উহা বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না। হারাম মালে গঠিত প্রত্যেক দেহের জন্য দোজখই অধিক উপযুক্ত।