ডেস্ক রিপোর্ট ॥ ধাপে ধাপে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চাই বলে উল্লেখ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৭ মন্ত্রী, ৪ সচিব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমরা আগেও বলেছি, যারা নিরপরাধ শিক্ষার্থী এবং যারা শান্তিপূর্ণভাবে এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে তারা কেউই যাতে কোনো ধরনের প্রশাসনিক হয়রানির শিকার বা আইনি জটিলতায় না পড়ে। যেসব শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবক যদি মনে করে তারা নিরপরাধ তারা অবশ্যই সেটা নিয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা সরাসরি তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেবো।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আমরা বারবার বলছি জননিরাপত্তা সর্বাগ্রে। জননিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা সব কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ধাপে ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে চাই। প্রাথমিক শিক্ষার জন্য আমাদের যে বিদ্যালয়গুলো আছে এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো আছে সেগুলোও নিরাপত্তা ঝুঁকি নিরূপণের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। এ মুহূর্তে আমরা প্রতিদিন নিরাপত্তা ঝুঁকি নিরূপণ করছি। এগুলো বিবেচনায় নিয়েই আমরা যথাসময়ে জানিয়ে দেবো।
অনলাইনে ক্লাসের শুরুর বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইন্টারনেট যেহেতু সচল হয়েছে সেহেতু আমরা এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবো। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি। বেসরকারি কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করছে। সেটা আমরা যথাসময়ে জানিয়ে দেবো। এইচএসসি পরীক্ষা কখন হবে সেটাও আমরা যথাসময়ে জানিয়ে দেবো।
এর আগে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কারফিউ, চলমান বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসেন ৭ মন্ত্রী, ৪ সচিব এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।