স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জের নছরতপুরে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন তালুকদার (৫০) ও আরিফ মিয়া (৩৫) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোবারক হোসেন ভূঞার নেতৃত্বে পুলিশ, র‌্যাব পৃথক অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোবারক হোসেন ভূঞা গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারকৃত আব্বাস উদ্দিন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পুরাসুন্দা গ্রামের বাসিন্দা এবং আরিফ মিয়া মাধবপুর উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, ১৯ জুলাই বিকেলে শায়েস্তাগঞ্জের নছরতপুরে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে তা ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। ৩ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ১৮ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক লোক আহত হয়। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ১০১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩শ’ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই হিরক চক্রবর্তী। মামলায় প্রধান আসামী করা হয় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল করিমকে। এ ছাড়াও মামলায় হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র ও বিএনপি সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর মেয়র ও পৌর বিএনপি সভাপতি ফরিদ আহমেদ অলি, জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, হবিগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর সফিকুর রহমান সিতু, গোপায়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ ফরহাদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মহসিন পাশা ইদু, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মিজানুর রহমান সুমন, যুগ্ম আহবায়ক রাকিবুল হোসেন সান্টু, পৌর কাউন্সিলর ফাহিন হোসেনকে আসামী করা হয়। মামলায় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ৪৬ জন, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ২৩ জন, চুনারুঘাট উপজেলার ১৩ জন, বাহুবল উপজেলার ১০ জন এবং মাধবপুর উপজেলার ৯ জনকে আসামীভুক্ত করা হয়। তাছাড়া পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় নুরুল (৩০) ও রুহুল আমিন (৩৫) নামে দুজনকে ইতোপূর্বে গ্রেফতার করে পুলিশ।