মাধবপুরের পেয়ারা বেগমের আহাজারি…

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দু’চোখে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল বারবার। যেন কোন কথা খুঁজে পাচ্ছিলেন না বৃদ্ধা পেয়ারা বেগম। তবুও বললেন, আমার কোনো সন্তান নেই, জায়গা-জমিও নেই। স্বামীই ছিলেন সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী। স্বামী ছাড়া এ পৃথিবীতে আমার আর কেউ নেই। ৫০ বছর বয়সী পেয়ারা বেগমের প্রশ্ন, ‘কি দোষ ছিল আমার বৃদ্ধ স্বামীর? কেন তাকে গুলি করে হত্যা করা হলো?’
পেয়ারা বেগমের স্বামী শফিকুল ইসলাম শামীম। কোটা আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই ঢাকার সাভার আমিন কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ভাড়া বাসায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি নিহত হন। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুলঘর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে ঢাকার সাভার আমিন কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। গরমের সময় শরবত আর শীতের সময় মোয়া বিক্রি করতেন তিনি। নিহত শফিকুল ইসলামের কোনো সন্তানাদি নেই। নেই কোনো জায়গা-জমিও। স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলেই ছিল তাদের সংসার।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদ বলেন, খবর পেয়ে নিহতের বাড়ি গিয়ে সমবেদনা জানিয়েছি। দাফন-কাফনে সহযোগিতা করেছি।
শফিকুল ইসলাম নিহতের বিষয়ে কোনো তথ্য আছে কি না জানতে চাইলে মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমাদের থানায় কোনো রেকর্ড নেই। আমরা বিষয়টি অবগত নই।