চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলার আলহাজ্ব মোজাফফর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম ও সভাপতি মোঃ ওয়াহেদ আলীর বিরুদ্ধে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের সাক্ষর জালিয়াতি করে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়ে থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া উক্ত স্কুলের পূর্বের নিয়োগ পরীক্ষায়ও অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এক অভিভাবক প্রতিনিধি।
অনিয়ম ও অভিযোগ নিয়ে উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা অভিভাবক আব্দুর রুউফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- আলহাজ্ব মোজাফফর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর সকল শিক্ষকগণের সাক্ষর জালিয়াতি করে তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন করেন প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম। কিন্তু আব্দুর রউফ একজন অভিভাবক হয়েও বিষয়টি তিনি জানতে পারেননি এবং তার মতো অন্যান্য অভিভাবকরাও জানতে পারেননি। পরে আব্দুর রউফ বাদী হয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, জেলা মাধমিক শিক্ষা অফিস, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেট তার আবেদন আমলে নিয়ে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। আব্দুর রউফ এর অভিযোগ, গোপনে কমিটি গঠন করে বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক তৌফিকুল ইসলামকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য পায়তারা শুরু করেন। আরও উল্লেখ্য আব্দুর রউফ একজন অভিভাবক হয়ে যখন সকল দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন তখনই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার নামে একটি আইসিটি মামলা দায়ের করেন। একজন প্রধান শিক্ষক কিভাবে শিক্ষকগণের সাক্ষর জালিয়াতি করে ও বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক নয় এমন একজন শিক্ষক অবিনাশ চন্দ্র রায়কে শিক্ষক প্রতিনিধি বানিয়ে উক্ত কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্য করার পায়তারা শুরু করেন। তিনি এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত কামনা করেন এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের আবেদন জানান।