আলমগীর কবির, মাধবপুর থেকে ॥ মাধবপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করেই ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা ও স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহতের পাশাপাশি বাজারে কলেরা প্রতিরোধক আইভি স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা স্যালাইনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রোগী ও তাদের স্বজনদের। সংকট নিরসনে চলতি মৌসুমে জনস্বাস্থ্য বিভাগের কাছে কলেরা স্যালাইনের চাহিদা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডাঃ ইশতিয়াক আল মামুন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তারেকুজ্জামান জানান, গত ১০ দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দুই শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শয্যা না পেয়ে অনেকেই ওয়ার্ডের বাইরে মেঝেতে শুয়ে-বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শিশু রোগীদের এক শয্যায় দুই থেকে তিনজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে পনেরোর অধিক ডায়রিয়া রোগী। রবিবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালে অন্য রোগী থাকায় কিছু রোগীকে মেঝে ও ফ্লোরে রাখা হয়েছে। হঠাৎ রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে স্যালাইন সংকট। এদিকে বাজারে ওষুধের দোকানেও দেখা দিয়েছে কলেরার স্যালাইন সংকট। যা পাওয়া যাচ্ছে তার দামও নেওয়া হচ্ছে বেশি।
শয্যা ও স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা ইশতিয়াক আল মামুন বলেন, এই মুহূর্তে রোগীদের সচেতনতার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে রোগীর চাপ অনেক বেশি, সেই তুলনায় স্যালাইন সংকট। আমরা চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। আশা করি দ্রুত সমাধান হবে।
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ নূরুল হক বলেন, আমি আপনার সাথে কথা বলার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাথে কথা বলেছি, উনি স্যালাইন সংকটের কথা বলেছেন। আগামীকাল মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কলেরা প্রতিরোধক আইভি স্যালাইন পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, শীতের পর গরমের আগমনে দিনে তীব্র গরম ও তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্তের হার বাড়ছে। শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে একটু বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়াক আল মামুন।