বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনে জেলা প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি
মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ আজ ১৭ মার্চ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত এই নেতা। তাঁর সাহসী ও আপসহীন নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়েই পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বীর বাঙালি। সরকারিভাবে দিবসটি ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে উদ্যাপিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের প্রয়াত সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দেশের বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনে হবিগঞ্জে ব্যাপক প্রস্তুতি ঃ ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৬ ও ১৭ মার্চ সকল সরকারি আধা সরকারি এবং স্বায়ত্ত্বশাসিত ভবন ও স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা ও বর্ণিল পতাকা সহকারে সড়ক দ্বীপ সজ্জিতকরণ, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত এবং বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, সকাল সাড়ে ৯টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণ হতে শুরু হয়ে তিনকোণা পুকুর পাড় হয়ে নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া দিনব্যাপী শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, সুবিধামত সময়ে শিশুদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জীবনীভিত্তিক রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোটাসমূহে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা, হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশু পরিবারসমূহে উন্নতমানের খাবার সরবরাহ এবং নির্ধারিত সময়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বড় পর্দায় সম্প্রচার করা হবে।