নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিশুকে খৎনা করাতে গিয়ে লিঙ্গ কেটে ফেলেছেন চিকিৎসক। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে শিশুটি মৃত্যুপথযাত্রী। ওই শিশুর কান্নাকাটি শুনে স্বজনরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা করলে এক পর্যায়ে তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশুটির চাচা হারুন মিয়া চিকিৎসকসহ দুই জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, অনুমোদন না থাকায় সম্প্রতি আউশকান্দি বাজারের কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়। কিন্তু মালিকপক্ষ আইনের তোয়াক্কা না করে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি খুলে কার্যক্রম শুরু করেন। ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের আব্দুশ শহীদের পুত্র ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তামিম আহমেদকে (১২) খৎনা করাতে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভুলে শিশুটির লিঙ্গ কেটে ফেলেন। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। অভিযোগ রয়েছে, এতে শিশুটি ভয়ে কান্নাকাটি করলে তাকে চিকিৎসক ও মালিক পক্ষের লোকজন মারপিট করেছেন। শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তামিমের স্বজনদেরও মারপিট করা হয়। পরে উত্তেজিত জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি ঘেরাও করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যায়। তবে এ সময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাউকে পায়নি পুলিশ।
এ বিষয়ে শিশু তামিমের চাচা হারুন মিয়া বলেন, আমার ভাতিজাকে খৎনার নামে ভুল অপারেশন করে লিঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। সে কান্নাকাটি করলে তাকে ডাক্তার ও মালিক মারপিট করেছেন। তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় সিলেটে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার বলেন, সিলগালা করা কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কেন খোলা হয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এটা ১৫ দিন আগে সিলগালা করা হয়েছিল।
নবীগঞ্জ উপজেলা টিএইচও ডাক্তার আব্দুস ছামাদ বলেন, অনুমোদনবিহীন কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে। আজ কেন কে বা কারা এটি খুলেছে আমরা বিষয়টি জানি না। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী জানান, তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন।