জাতীয় মহিলা সংস্থা, হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয় কর্তৃক দাম্পত্য জীবনের বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে। বাদী মোছা: লিমা বেগম (২০) পিতা: আবুল কালাম, মাতা: রাহেনা খাতুন, সাং- সুকরিপাড়া, ডাকঘর: শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিবাদী মো: সাকির মিয়া (২১), পিতা: রহমত আলী, মাতা: আঙ্গুরা খাতুন সাং- ডোবাগাও, ডাকঘর: সিক্কা, উপজেলা- শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার এর মধ্যকার দীর্ঘ দিনের দাম্পত্য জীবনের বিরোধ জাতীয় মহিলা সংস্থা, হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের চেয়ারম্যান ইসমত আরা বেগম এর সভাপতিত্বে ৩ দফা সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়। বাদী ও বিবাদী পক্ষদ্বয়ের বক্তব্য প্রতিয়মান হয় যে, বাদী ও বিবাদী পক্ষদ্বয় পূর্ব থেকেই আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ ছিল। বাদী লিমা বেগম এর বড় ভাই মো: কাজল মিয়ার সাথে বিবাদী সাকির মিয়ার বোন আকলিমা আক্তারের সাথে পারিবারিকভাবে ২১/০৩/২০২১ খি. তারিখে বিয়ে হয়। সে সুবাদে বাদী ও বিবাদী একে অপরের আত্মীয় ছিল। বিবাদী মোঃ সাকির মিয়া আত্মীয়তার সুবাদে বাদী লিমা বেগম এর বাড়িতে যাতায়াতের প্রেক্ষিতে একে অপরের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের উপযুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও পরিবারের অমতে এভিডেভিট এর মাধ্যমে ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা দেন মোহর ধার্য করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে তাদের দুই পরিবার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হলে উভয়পক্ষ তাদের মেয়েকে আটক রেখে পারিবারিক কলহ/ বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। তাদের আত্মীয়তার সম্পর্কের মধ্যে বিশাল দূরত্ব তৈরি হয়। বাদীর এক বছরের একটি পুত্র সন্তান হয়। বিরোধের জেরে বাদীর স্বামী এবং স্বামীর পরিবারের কেহই এক বছর পর্যন্ত উক্ত সন্তানের মুখ পর্যন্ত দেখে নাই। অবশেষে জাতীয় মহিলা সংস্থা, হবিগঞ্জ এর চেয়ারম্যান ইসমত আরা বেগম এর দূরদর্শীতায় কাজীর মাধ্যমে বিয়ের কাবিন তৈরীর কাজ সম্পন্ন করে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিনের বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়। উক্ত সালিশি বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস আরা বেগম, সুকরিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো: আব্দুল মুকিত, সংস্থার সদস্য খুদেজা আক্তার, শাহানারা চৌধুরী, সংস্থার জেলা কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইয়াছিন, মাঠ সমন্বয়কারী মোঃ কবির হোসেন এবং দুই পক্ষের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি