চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের মধ্য ডুলনা গ্রামের মুন্সিবাড়ি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হাপ্টারহাওর গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে নাহিদ(৭) কে অমানসিক মারপিট করার দায় থেকে মুক্তি পেয়েছেন মাদ্রাসার শিক্ষক তারিফ মিয়া। রবিবার রাতে এক শালিস বৈঠকে অভিযুক্ত শিক্ষক তারিফ মিয়া ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিয়ে স্বপদে বহাল রাখার রায় দেয়া হয়েছে। নাহিদের বাবার নাম কামাল মিয়া। তার বাড়ি গাজীপুর ইউনিয়নে।
রবিবার সন্ধ্যায় নাহিদের বাড়িতে শালিস সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মেম্বার মালেক চৌধুরী, জাপানী কাজলসহ অর্ধশতাধিক মানুষ। গাজীপুর ইউনিয়নের মধ্য ডুলনা মুন্সিবাড়ি হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র নাহিদকে মারাত্মক জখম করার ঘটনায় শিক্ষক তারিফ শিক্ষার্থীর পিতাসহ সকলের কাছে ক্ষমা চান। পরে তাকে ক্ষমা করে স্বপদে বহাল রাখা হয়।
এলাকাবাসি জানান, গত শনিবার বিকেলে মাদ্রাসার হুজুর তারিফ মিয়া নাহিদ নামের এক শিক্ষার্থীকে পড়া মুখস্থ না করায় মারপিট করে তার সারা শরীর রক্তাক্ত জখম করেন। খবর পেয়ে নাহিদের বাবাসহ কয়েকজন অভিভাবক মাদ্রাসায় এসে নাহিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও এলাকাবাসির মাঝে ক্ষোভ দেখা দিলে শিক্ষক তারিফ গা ঢাকা দেন। ঘটনার খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার এসআই লিটন, এসআই অজিতসহ কয়েকজন পুলিশ অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু এলাকার প্রভাবশালীরা ওই শিক্ষককে বাঁচাতে শিক্ষার্থীর পিতাকে মামলা মোকাদ্দমা না করার নির্দেশ দেন। রবিবার সকালে প্রভাবশালীদের চাপের মুখে বাবা কামাল মিয়া তার ছেলে নাহিদকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসেন। সন্ধায় শালিস সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক তারিফ মিয়া ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান।
এ ব্যপারে চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায় বলেন, এ বিষয়ে তিনি এখনও কিছু জানেন না। তবে কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।