এস কে কাওছার আহমেদ, আজমিরীগঞ্জ থেকে ॥ আজমিরীগঞ্জে রাস্তার এক পাগলী মা হয়েছে। পাগলীর সন্তানের কোনো পিতৃ পরিচয় পাওয়া যায়নি। শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিমবাগ কাটা নদীর তীর থেকে অজ্ঞাত মানসিক প্রতিবন্ধি নারী ও এক নবজাতকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশকে অবগত করলে শিবপাশা ফাঁড়ি পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে শিবপাশা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। রবিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে কাটাগাং নদীর তীরে স্থানীয়রা নবজাতক সহ মাকে দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান গ্রাম পুলিশ তাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, জমিতে কাজ করার সময় তিনি স্থানীয়দের সমাগম দেখে এগিয়ে যান। গিয়ে দেখতে পান, পশ্চিমবাগ কাটাগাং নদীর তীরে অজ্ঞাত এক নারী কন্যা সন্তান প্রসব করেছেন। বাচ্চাটি ঘাসের উপর পড়ে রয়েছে। তখন তিনি সহ স্থানীয়রা পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক ধাত্রীর সহায়তায় গর্ভফুল কেটে সন্তান আলাদা করেন।
শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ফজলুর রহমান মা ও নবজাতকে উদ্ধার করে শিবপাশা ইউনিয়ন স্বাস্থ্যং পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে নিয়ে যান। পাগলির সাথে বার বার কথা বলার চেষ্টা করলে শুধু তার নাম আঞ্জুরা বলা ছাড়া কোন কিছুই বলতে পারেন না। স্থানীয়রা বলেন, ওই নারী মানসিক প্রতিবন্ধি। তবে এই এলাকায় আগে কখনো দেখেননি তাকে।
উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় একদিন শিবপাশা পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে রাখার পর গতকাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে।
শিবপাশা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী নিলুফা আক্তার জানান, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সহযোগিতায় আমাদের এখানে আনা হয়। ডাঃ ফারজানা পারভিন এর সহযোগিতায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখা হয়। ১দিন পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়েছে।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পরও পরিচয় জানার চেষ্টা করলে নিজের নাম ছাড়া কিছুই বলতে পারে না এই মানসিক প্রতিবন্ধী মহিলা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল ভৌমিক বলেন, হাওরে এক নারী সন্তান প্রসব করেছেন। তবে তিনি ভালোভাবে কথা বলতে পারেন না। কথা বলতে না পারায় তার পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আইনানুগ কার্যক্রম চলমান আছে।