আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ আজমিরীগঞ্জে কলেজছাত্রসহ দুই জন আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের বিন্যাখালী গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী আব্দুর জব্বারের ছেলে সিলেট জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির মিয়া (২৩) এবং একইদিন সন্ধ্যা প্রায় ৭ টায় উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের শিবপাশা কান্দিপাড়ের মোস্তাকিন মিয়ার স্ত্রী এক কন্যা সন্তানের জননী রুপসা আক্তার (২৫) বসত ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাব্বির লেখাপড়ার সূত্রে সিলেট বসবাস করতো। সপ্তাহ খানেক পূর্বে সে বাড়িতে আসে। সোমবার বিকেলে মায়ের কাছে ৩০ হাজার টাকা চায় সাব্বির। তার মা টাকা পরে দিবেন জানালে সন্ধ্যায় অভিমান করে সবার অগোচরে নিজের বসত ঘরের আড়ার সাথে কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সাব্বির। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের নজরে আসলে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পুলিশকে বিষয়টি অবগত করা হয়। খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সালাম ঘটনাস্থলে গিয়ে সাব্বিরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন।
অপরদিকে একই দিন সন্ধ্যায় উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের কান্দিপাড়ের বাসিন্দা মোস্তাকিন মিয়ার স্ত্রী রুপসা আক্তারের সাথে ঢাকায় কর্মরত স্বামী মোস্তাকিনের মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে অভিমানে সন্ধ্যা প্রায় ৭ টার দিকে পরিবারের সকলের অগোচরে নিজের বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করেন রুপসা। ঘটনার এক পর্যায়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে শোর চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। খবর পেয়ে শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আলমগীর কবির সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুপসা আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাব্বিরের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া নেয়ার জন্য পরিবারের লোকজন আবেদন করেছেন। আর রুপসা আক্তারের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।