মেম্বার বেনু মিয়া ও তার ভাই অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমানের বাড়িতে হামলা ভাংচুর ॥ মহিলাসহ আহত ৪০

মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বেজুড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পাভেল মিয়া (৩০) নামে একজন নিহত ও মহিলাসহ কমপক্ষে ৪০জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষে অভিযোগে জগদীশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ খানকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর-চুনারুঘাট সার্কেলের সিনিয়র এএসপি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- জগদীশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁন দক্ষিণ বেজুড়া গ্রামের মৃত কিফত আলীর ওয়ারিশ হাজী আসকর আলী ও দুলাল মিয়া গংদের কাছ থেকে ৭/৮ মাস আগে একটি জমি ক্রয় করে। অপরদিকে ওই জমি একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক মিয়ার সন্তানরা নিজেদের দাবি করে ভোগ-দখল করে আসছেন। শনিবার সকাল ৯টার দিকে মাসুদ খানের লোকজন ওই জমিতে ধান রোপন করতে গেলে মৃত বারেক মিয়ার ওয়ারিশরা বাধাঁ দেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। গুরুতর আহত মুর্শেদ মিয়া (৪৫) সুমা আক্তার (২৪) আঃ হামিদ (৩০) সফিক মিয়া (৪০) পায়েল মিয়া (৩০) মারফতউল্লাহ (৩৫) আউস মিয়া (৪২) জসিম মিয়া (২৪) দুলাল মিয়া ( ২৫) শিমুল মিয়া (৩০) জাকারিয়া (২৩) শামীম মিয়া (২৭) তাহের মিয়া (৬৫) মাসুদ রানা (৪০) জালাল মিয়া (৩২) খোকন মিয়া (৪৭) আয়েদ আলী (২৬) আলমগীর (২৭) রফিক মিয়া (২৮) জসিম মিয়া (২৭) করিম মিয়া (৩০) শাহজাহান মিয়া (২৫) মিজান মিয়া (২৬) সাইফুল ইসলাম (২০) ইজাজুল (২৪) সফিক মিয়া (২৯) আশিক মিয়া (২৮) সামসুউদ্দিন (৩০) সাইফুল (২৯)কে মাধবপুর, হবিগঞ্জ, ঢাকা ও সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় কয়েকটি বাড়িতে হামলা পাল্টা হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। গুরুতর আহত মধ্যবেজুড়া গ্রামের মাতাব্বর মিয়ার ছেলে পাভেল মিয়া ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাকিবুল ইসলাম খাঁনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইউপি সদস্য বেনু মিয়া জানান- আমিসহ আমার লোকজন বাড়ির বাহিরে থাকার সুযোগে চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁনের লোকজন আমার এবং আমার ভাই অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমানের বাড়িতে হামলা ভাংচুর করেন।
থানার অফিসার ইনাচার্জ মোঃ রাকিবুল ইসলাম খাঁন জানান বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সর্বশেষ এ রিপোর্ট লেখার সময় যোগাযোগ করা হলে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী জানান, নিহতের ঘটনা শুনে ওই গ্রামে ফের সংঘর্ষের প্রস্তুতি চলে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।