অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পৌরসভার বড় ড্রেনগুলো উন্মুক্ত করার উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পৌরসভার বড় ড্রেনগুলো উন্মুক্ত করার উদ্যোগ নেবে হবিগঞ্জ পৌরসভা। শনিবার সকালে নাতিরপুর, বাতিরপুর এলাকায় পৌরসভার বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিদর্শনের সময় এলাকাবাসীর সাথে আলোচনাকালে মেয়র আতাউর রহমান সেলিম এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় হবিগঞ্জ শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনের জমি অবমুক্ত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হবে। মেয়র পুরান বাজার হতে নাতিরপুর হয়ে বাতিরপুরের মধ্য দিয়ে কালীগাছতলা পর্যন্ত বড় ড্রেন পুরোটা হেটে পরিদর্শন করেন। এ সময় এলাকাবাসীর সাথে তিনি ড্রেন নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, এক সময় এই ড্রেন খাল ছিল। এই খাল দিয়ে নৌকা চলাচল করতো। কিন্তু দখল হতে হতে এখন ৪ কিংবা ৫ ফুট প্রশস্ততায় দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও ড্রেনের পাড়ে এমনভাবে দেয়াল উঠানো হয়েছে, যে কোন পরিচ্ছন্নকর্মীর পক্ষে দাঁড়িয়ে ড্রেন পরিস্কার করা সম্ভব নয়। পরিচ্ছন্নকর্মীদের দাঁড়ানোর মতো জায়গা অবশিষ্ট নেই। উপরন্তু বাসা-বাড়ীর ময়লা অবিরাম ড্রেনে ফেলা হচ্ছে। ফলে ড্রেনের মধ্য দিয়ে পানি প্রবাহ দূরে থাক বরং আবর্জনার স্তুপ সৃষ্টি হয়েছে। গত মার্চ-এপ্রিলে পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মী দিয়ে পরিস্কারের চেষ্টা করা হয়েছে। এবার আরো ভালোভাবে পরিস্কার করার জন্য বেশি পারিশ্রমিক দিয়ে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োজিত করা হয়েছে। শুক্রবার হতে এ বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
মেয়র আতাউর রহমান সেলিম আরো বলেন, পৌরসভার সকল চেষ্টাই ব্যর্থ হবে যদি ড্রেনের জায়গা উদ্ধার করা না হয় এবং ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ না হয়। এ ব্যাপারে তিনি এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। মেয়র বলেন, পৌরসভা একদিকে ড্রেনের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করবে, অন্যদিকে আবর্জনা ফেলে ড্রেন ভরাট করে ফেলা হবে এটা হতে পারে না। তাই সবাইকে আবর্জনা ভ্যানগাড়ীতে দিতে হবে অথবা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। যারা ড্রেনের জায়গা দখল করে আছেন শীঘ্রই তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হবে। মাপজোকের মাধ্যমে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাথে সাথে ড্রেনের জমি অবমুক্ত করা হবে। এই শুকনো মওসুমে ড্রেনের জায়গা অবমুক্ত না করা হলে আগামী বৃষ্টি মওসুমে জলাবদ্ধতা আরো বাড়বে। ড্রেন পরিস্কারে পৌরসভার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান মেয়র। তিনি ড্রেনে আবর্জনা না ফেলার জন্য সকল পৌর নাগরিকের প্রতি আহবান জানান। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোঃ জাহির উদ্দিন, প্রিয়াংকা সরকার, সহকারী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার দত্ত ও সহকারী প্রকৌশলী (পানি ও পয়ঃ নিস্কাশন) মোহাম্মদ আবদুল কদ্দুছ শামীম।