অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালকদের দৌরাত্ম্য বন্ধে শীঘ্রই মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত

আক্তার হোসেন আলহাদী ॥ হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল বলেছেন, নির্বাচন পর্যন্তই দুইটি পক্ষ ছিল। এখন কোন পক্ষ নেই। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি সকলকে সাথে নিয়ে একযোগে কাজ করতে চাই। বিশেষ করে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের নিকট ফোন অথবা সরাসরি এসে আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কোন কাজ করাতে চাইলে আপনারা করবেন না। আমার নির্বাচনী এলাকার যে কেউই হোক না কেন আইনের বাইরে গিয়ে কোন সুবিধা দিতে যাবেন না। অনেকেই আমার সাথে কাজ করেছেন এবং করবেন। তারা যাতে সংসদ সদস্যের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন অবৈধ কাজ করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। গতকাল বানিয়াচং উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। তিনি বলেন- আমার ব্যক্তিগত কোন প্রতিনিধি নেই। আমি নিজেই আমার প্রতিনিধি। আপনারা যেকোন সময় আমার সাথে প্রয়োজন হলে সরাসরি অথবা ফোনে যোগাযোগ করবেন। সকলের সাথে সমন্বয় করে বানিয়াচংয়ের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে আমি আপনাদের সবাইকে এক সাথে নিয়েই কাজ করতে চাই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন নির্বিঘœ ও গ্রহণযোগ্য করতে সকলের প্রচেষ্টা ছিল উল্লেখ করে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান। বক্তব্য রাখেন- উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সভাপতি আবুল কাসেম চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: সাইফুর রহমান, ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শামসুল হক, আহাদ মিয়া, বানিয়াচং প্রেসক্লাব সভাপতি মোশাহেদ মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আরফান উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, মঞ্জু কুমার দাস, এরশাদ আলী, ফরিদ আহমেদ, মাসউদ কোরাইশী মক্কী, হাফেজ শামরুল ইসলাম, জয়কুমার দাস, সাদিকুর রহমান, শেখ মিজান, ইমাম সমিতির সভাপতি কাজী আতাউর রহমান, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বিপুল ভূষণ রায়, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ও আদিবাসী ঐক্য পরিষদ সভাপতি স্বপন দাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, শেখ শাহনেওয়াজ ফুল, শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ কবিরুল ইসলাম প্রমূখ।
আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত হয় ১৮ বছরের নীচে কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক টমটম ড্রাইভিং করতে পারবে না। অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালকদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে শীঘ্রই মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।