স্টাফ রিপোর্টার ॥ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে তাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপরই নতুন মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করা হয়। এবার মন্ত্রিপরিষদের চমক হিসেবে এসেছেন দেশের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি দায়িত্ব পেয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। তিনি সংসদ সদস্য নন। ফলে তিনি টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন ১৯৪৯ সালের ২৪ নভেম্বর হবিগঞ্জের নাগুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম জিতেন্দ্র লাল সেন, যিনি সরকারি চাকরি করতেন। তিনি সেন্ট ফিলিস হাইস্কুল থেকে ১৯৬৪ সালে মাধ্যমিক ও সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। ১৯৮০ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা থেকে ‘ডিপ্লোমা ইন স্পেশালাইজড সার্জারি’ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে জার্মানি ও ইংল্যান্ডে সার্জারিতে আরও প্রশিক্ষণ নেন।
সামন্ত লাল সেন এমবিবিএস পাশ করার পর ১৯৭৫ সালে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ঢাকায় বদলি হয়ে শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগ দেন। ১৯৮০ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেন।
ডা. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে ঢাকা মেডিকেলে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম বার্ন বিভাগ চালু হয়। সামন্ত লাল সেন এই বিভাগ চালু করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরে ২০০৩ সালে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির জন্য স্বতন্ত্র একটি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়। তিনি এ ইউনিটের প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অবসরে যান। পরে সরকার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ দেন। পরে এই ইউনিটটিকে স্বতন্ত্র একটি ইনস্টিটিউটে রূপান্তর করে ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’ নামে ২০১৯ সালের ৪ জুলাই এখান থেকে চিকিৎসাসেবা প্রদান শুরু হয়। শুরু থেকেই সামন্ত লাল সেন এর প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পান।
সামন্ত লাল সেন ব্যক্তিজীবনে রতœা সেনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দেশে বড় কোনো আগুনের ঘটনা ঘটলেই তাদের চিকিৎসার ত্রাতার ভূমিকা রাখেন সামন্ত লাল সেন।