নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে শারমিন বেগম (১৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। গত ১০ দিন পূর্বে উপজেলার বড় ভাকৈর (পূর্ব) গ্রামে ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। হত্যা নাকি আত্মহত্যা এই মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা চলছে। শারমিন বেগমের পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার পর তীরের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। শারমিন বেগমের খালা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে স্বামী মোঃ সাইফুল ইসলামসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শারমিন বেগম রামপুর গ্রামের ময়না মিয়ার মেয়ে। শারমিন বেগমের স্বামী মোঃ সাইফুল ইসলাম জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন জানতে পেরে এলাকার মুরুব্বীদের সাথে নিয়ে শারমিন বেগমকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাইফুল ইসলাম তাকে ফিরিয়ে না দিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করে। ৫ সন্তানের জনকের সাথে ১৫ বছরের শারমিনের কিভাবে বিয়ে হলো এ নিয়ে এলাকায় আলোচনার ঝড় বইছে। শারমিনের পরিবারের লোকজন বলছেন, সাইফুল ইসলামসহ তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তীরের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী বলেন, শ্বশুরবাড়ির নিজ শয়ন কক্ষ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে প্রকৃত ঘটনার প্রেক্ষিতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।