কাজী মাহমুদুল হক সুজন ॥ নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে আচরণবিধির লঙ্ঘনের কারণ দর্শানোর জবাব দিয়েছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পরিচিত মুখ আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ-৪ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয় হবিগঞ্জ সদর আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পালের কাছে তিনি লিখিত জবাব দেন।
লিখিত জবাব দিয়ে ব্যারিস্টার সুমন দৈনিক হবিগঞ্জের মুখকে বলেন, আমাকে আদালত শোকজ করেছিলেন যে আমার কারণে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে আর আমি পুলিশকে জানাইনি কেন। আমি আদালতকে ব্যাখ্যা দিয়েছি- আমার তো সেখানে কোন প্রোগ্রামই ছিল না যে পুলিশকে জানাবো। আমার যদি কোন প্রচারণার ব্যানার থাকতো, আগে কোন লিফলেট বিতরণ করা থাকতো যে আমি প্রোগ্রাম করবো তখনইতো পুলিশকে জানাবো।
সুমন বলেন, আমিতো রাজনীতিবিদ বা প্রার্থী হিসাবে মাত্র দুইসপ্তাহ। কিন্তু এর আগেইতো একজন ফুটবলার এবং ফেসবুকে আমার ৭ মিলিয়ন ফলোয়ার থাকায় যেখানেই দাঁড়াই সেখানেই কিছু মানুষ এসে যায়। আমি বলেছি এটার সাথে আমি জড়িত না। আমার কোন অনুষ্ঠান ছিল না। এটাও বলেছি যে, যেহেতু আমি আইনের মানুষ হিসাবে সব সময়ই চেষ্টা থাকে যাতে কোন বিধিলঙ্ঘন না হয়।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে রাস্তা বন্ধ করে জনসাধারণের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠে। পরে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি এক পত্রে ৭ ডিসেম্বর ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির নির্দেশ মোতাবেক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন উক্ত জবাব দাখিল করেন।