হবিগঞ্জে এমপি প্রার্থীদের নগদ টাকা স্বর্ণালঙ্কার ও সম্পদের বিবরণ ০৪

কেয়া চৌধুরীর ব্যাংক ঋণ ৮৩ লাখ টাকা ॥ দেওয়ান ফরিদ গাজীর ছেলে গাজী মোহাম্মদ শাহেদের মাসিক আয় মাত্র ৩১ হাজার ৬৬৬ টাকা

এস এম সুরুজ আলী ॥ হবিগঞ্জের ৪টি আসনে এমপি প্রার্থীরা রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলকালে হলফনামার মাধ্যমে নিজের এবং স্ত্রী-সন্তানের নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও সম্পদের বিবরণ দাখিল করেছেন। দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকার পাঠকদের জন্য প্রার্থীদের নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও সম্পদের বিবরণ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ তুলে ধরা হলো- হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্র্র্থী অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী ও একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহেদ এর নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও সম্পদের বিবরণ-
অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী : হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী কেয়া চৌধুরী। তিনি বাহুবল উপজেলার ¯œানঘাট ইউনিয়নের খাগাউড়া গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী ও রোকেয়া চৌধুরীর কন্যা। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরী হলফনামায় উল্লেখ করেন তাঁর নামে অতীতে যেমন মামলা ছিল না, বর্তমানেও নেই। তাঁর কাছে নগদ রয়েছে ৬০ লাখ ২২ হাজার ১৯৮ টাকা। ব্যাংকে জমা ১২ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৮ টাকা। তার একটি গাড়ী রয়েছে যার মূল্য ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। তাঁর রয়েছে ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র রয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার টাকার। এছাড়াও স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে কৃষি জমি রয়েছে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের। তার আইপিডিসি ফাইন্যান্স ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ৮৩ লাখ ২ হাজার ৩২৬ টাকা। এছাড়াও তাঁর উপর একই ব্যাংকে দায় রয়েছে ৪১ লাখ ৫১ হাজার ১৬৩ টাকা।
তাঁর স্বামীর নামে ব্যাংকে জমা রয়েছে ৪২ লাখ ৮৩ হাজার ৭৪৫ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক, এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকা নয় এমন কোম্পানীর শেয়ার (পরিমাণ অর্জনকালীন সময়ের মূল্য) ৭২ লাখ টাকা, পোস্টাল, সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৫০ লাখ টাকা, গাড়ী রয়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের। এছাড়া স্বর্ণ ৪০ ভরি, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য ৭ লাখ ২৬ হাজার ৬৪২ টাকা। কৃষি জমি রয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ও ১ কোটি ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের অকৃষি জায়গা রয়েছে।
গাজী মোহাম্মদ শাহেদ : তিনি হবিগঞ্জ-১(নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী। হলফনামায় তার বর্তমান ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ্য করেছেন ভিআইপি রোড সিলেট ১নং কুয়ারপাড়। তিনি সাবেক মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজী ও আলম রওশন চৌধুরীর ছেলে। তাঁর বার্ষিক আয়ের খাতগুলোর মধ্যে শুধু ব্যবসা থেকে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ হিসেবে তাঁর মাসিক আয় মাত্র ৩১ হাজার ৬৬৬ টাকা। তাঁর কাছে নগদ রয়েছে ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ৪ হাজার টাকা। এছাড়াও ১ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার। স্বর্ণালংকার, ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্রগুলো বিবাহসূত্রে প্রাপ্ত বলে হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন।